সংবাদ বিষয়ক নতুন খসরা আইন অপরিবর্তিত চেহারায় কানাডা কার্যকর করলে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে দেশটি থেকে সংবাদ প্রবেশাধিকার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক মাধ্যম জায়ান্ট মেটা।
মেটা ও গুগলের মতো বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মকে সংবাদ প্রকাশকদের সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি তাদের কনটেন্টের জন্য আর্থিক ফি দিতে বাধ্য করার মতো বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে গত বছরের এপ্রিলে প্রকাশিত ‘অনলাইন নিউজ অ্যাক্ট’ বা ‘হাউজ অফ কমনস বিল সি-১৮’-তে।
“একটি আইনী কাঠামো, যা আমাদের বিভিন্ন এমন লিংক বা কনটেন্টের জন্য অর্থ প্রদানে বাধ্য করছে, যা আমরা পোস্ট করি না। আমাদের বেশিরভাগ দর্শক এই সুনির্দিষ্ট কারণে প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহার করেন না। আর এটি টেকসই বা কার্যকরীও নয়।” --দেশটিতে সংবাদ প্রবেশাধিকার বন্ধের কারণ হিসেবে বলেন মেটার এক মুখপাত্র।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই আইনের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া হিসেবে গত মাসে গুগল সংবাদে সেন্সরশিপ আনার প্রাথমিক পরীক্ষা চালানোর পরপরই মেটার এই পদক্ষেপ এলো।
এর বিপরীতে, কানাডার সরকারকে বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিতে তুলনামূলক বেশি নিয়ন্ত্রণ আনার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো। এর মাধ্যমে এই খাতের বেশ কয়েক বছরের আর্থিক ক্ষতি পোষানো যাবে। ক্রমাগত বিজ্ঞাপন বাজারের সিংহভাগ শেয়ার দখল করে ফেলছে গুগল ও মেটার মতো বিভিন্ন প্রযুক্তি জায়ান্ট।
রোববার এক বিবৃতিতে কানাডার ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রী পাবলো রদ্রিগেজ বলেন, কানাডার সরকারের সঙ্গে সরল বিশ্বাসে কাজ করার বদলে ফেইসবুকের এমন হুমকি দেওয়ার বিষয়টি হতাশাজনক। আর ফেইসবুক কীভাবে কানাডার নাগরিকদের কাছে সংবাদ পৌঁছাবে, তার সঙ্গে ‘সি-১৮’ বিলের কোনো সম্পর্ক নেই।
“আমরা ফেইসবুককে কেবল বিভিন্ন সংবাদ প্রকাশকের কনটেন্টের লভ্যাংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে ন্যায্য চুক্তি সম্পন্ন করতে বলেছি।” --বলেন রদ্রিগেজ।
“এটি এই সপ্তাহের এক হতাশাজনক প্রবণতা যে, প্রযুক্তি জায়ান্টগুলো তাদের ন্যায্য অংশ না দিয়ে উল্টো সংবাদ নিষিদ্ধ করবে।”
গত বছর এই আইন নিয়ে নিজেদের শঙ্কার কথা জানিয়ে নিজস্ব প্ল্যাটফর্মে সংবাদ শেয়ারিং বন্ধের হুমকি দিয়েছিল ফেইসবুক।