‘রিকুয়েম ইন পাওয়ার (আরআইপি)’ নামের প্রকল্পটি স্পেনের সবচেয়ে বড় শহুরে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে চলেছে।
Published : 06 Jun 2024, 05:59 PM
সম্প্রতি গোরস্তানকে সবচেয়ে বড় শহুরে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্রে রূপান্তর করার পরিকল্পনা করছে স্পেন।
দেশটির ভ্যালেন্সিয়া শহরে হাজার হাজার সৌর প্যানেল স্থাপনের এ উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কারণ, এগুলোকে গ্রিন এনার্জি কেন্দ্রে রূপান্তর করা।
‘রিকুয়েম ইন পাওয়ার (আরআইপি)’ নামের প্রকল্পটি স্পেনের সবচেয়ে বড় শহুরে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র হতে চলেছে, যা প্রায় ২.৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
ভ্যালেন্সিয়া শহরের গোরস্তানের কবর ও অন্যান্য কাঠামোর উপর প্রায় সাত হাজার ফোটোভোলটাইক বা সোলার প্যানেল স্থাপন করার কথা উঠে এসেছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেওয়া এ প্রকল্পের এক ‘ফ্যাক্ট শিটে’।
“ক্লিন এনার্জি উৎপাদনের জন্য অনেক জায়গার যোগান আসতে পারে এসব পাবলিক প্লেস থেকে। এ উৎপাদিত শক্তি সাধারণ মানুষদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় বাসতবাড়ির জন্যও ব্যবহার করা হবে।”
অনুমান করা হচ্ছে, ‘আরআইপি’ প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু হলে প্রতি বছর ১৪০ টন কার্বন নির্গমন ঠেকানো যাবে।
‘ভ্যালেন্সিয়া ২০৩০ ক্লাইমেট মিশন’-এর অংশ হিসেবে শুরুর হওয়া এ প্রকল্পের মাধ্যমে ভূমধ্যসাগরীয় শহরটি ২০৫০ সালের মধ্যে জলবায়ু নিরপেক্ষ হওয়ার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের লক্ষ্যের দিকে আরও একধাপ এগিয়েছে।
এ দশকের শেষ নাগাদ জলবায়ু নিরপেক্ষতায় পৌঁছানোর নির্ধারিত সময়ের ২০ বছর আগেই সে পর্যায়ে সেই লক্ষ্য অর্জনের পরিকল্পনা করছে ভ্যালেন্সিয়া পৌরসভা।
এ প্রকল্পের ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে, “এই জরুরী জলবায়ু প্রেক্ষাপটে, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়তে বিভিন্ন শহরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পাশাপাশি শহরগুলোর কাছে এটি সমাধানের চাবিকাঠিও আছে৷”
“ভ্যালেন্সিয়া শহরের ডিকার্বোনাইজেশনের সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন সুবিধা সুস্পষ্ট ও আমাদের আকাঙ্ক্ষার অংশ। যেখানে, স্বাস্থ্যকর মানুষ, কম ট্রাফিক জ্যাম, কোলাহলহীন ও কম দূষণ হওয়ার পাশাপাশি আরও ভালভাবে প্রকৃতিকে বোঝা, ভাল অভ্যাস তৈরি করা এবং আরও নতুনত্ব আনা হবে। আমরা ভ্যালেন্সিয়া শহরটিকে আরও স্বাস্থ্যকর, টেকসই, সমৃদ্ধ বা সংক্ষেপে বললে, মানুষের জন্য আরও বাসযোগ্য ও আকাঙ্খিত শহর হিসেবে গড়ে তোলার আশা রাখি।”
এদিকে, কবরস্থানে সৌর প্যানেল তৈরির বিষয়টি ভ্যালেন্সিয়া শহরেই প্রথমবার ঘটেছে, এমন নয়। এর আগে, ফ্রান্সের এক সম্প্রদায় নিজেদের কবরস্থানকে একটি নবায়নযোগ্য শক্তি কেন্দ্রে রূপান্তর করতে ২০২১ সালে একটি প্রকল্প চালু করে।