হ্যাকাররা চীনের পক্ষে কাজ করছে এমন সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে তদন্ত বাড়ছে।
Published : 12 Aug 2023, 03:45 PM
ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে কী কী নিরাপত্তা ঝুঁকি থাকতে পারে, তা নিয়ে তদন্তে নামছে যুক্তরাষ্ট্রের এক সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শক প্যানেল। এর অংশ হিসেবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি বিভাগের ইমেইল সিস্টেম হ্যাকিংয়ে মাইক্রোসফটের ভূমিকা ছিল কি না, থাকলে কতোটা, সেটা বিশ্লেষণ করবে দলটি।
‘সাইবার সেইফটি রিভিউ বোর্ড (সিএসআরবি)’ নামের পর্ষদটি মূলত মনযোগ দেবে পরিচয় যাচাই ও এর পরবর্তী ব্যবস্থাপনা এবং ক্লাউড কম্পিউটিং অবকাঠামোর সম্ভাব্য ঝুঁকির ওপর।
এর পাশাপাশি, তারা বিভিন্ন ক্লাউড পরিষেবা সরবরাহকের ওপর নজর দেবে বলে বৃহস্পতিবার বিষয়টির সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদনে লিখেছে মার্কিন বাণিজ্য প্রকাশনা ‘ব্লুমবার্গ’।
ওই হ্যাকিংয়ের ঘটনার পরপরই জুলাই মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন’, ‘সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার এজেন্সি (সিসা)’ ও দেশটির বিচার বিভাগকে মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে “ব্যবস্থা নেওয়ার” আহ্বান জানিয়েছেন অরিগন অঙ্গরাজ্যের সিনেটর রন ওয়াইডেন। এর পরপরই প্রতিবেদনটি প্রকাশ পেল।
হ্যাকাররা চীনের পক্ষে কাজ করছে এমন সংবাদ প্রকাশের পর থেকেই মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে তদন্ত বাড়ছে।
এই প্রযুক্তি জায়ান্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ, হ্যাকাররা একটি ক্রিপ্টোগ্রাফিক কি’র নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পাশাপাশি কোম্পানির ক্লাউড ইমেইল প্ল্যাটফর্মে প্রবেশাধিকার পেতে কোডিং ত্রুটির সুযোগ নিয়েছে।
ওই প্রবেশাধিকারের সুযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রী জিনা রাইমন্ডো’ ও মার্কিন রাষ্ট্রীয় বিভাগের জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের যোগাযোগ ব্যবস্থায় গুপ্তচরবৃত্তি চালানো হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের ‘হাউজ অফ রিপ্রেসেন্টেটিভস ওভারসাইট কমিটি’ বলেছে, সম্প্রতি বাণিজ্য ও রাষ্ট্রীয় বিভাগের ইমেইল সিস্টেমে ঘটে যাওয়া হ্যাকিংয়ের সঙ্গে চীনের সম্পৃক্ততা আছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত করছে তারা।
এই প্রসঙ্গে রয়টার্স মাইক্রোসফট ও সিসা’র মন্তব্য জানতে চাইলে তারা কোনো জবাব দেয়নি।