বোর্ডের মতে, ‘শহীদ’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ আমলে না নেওয়ার ফলে, সহিংসতার উদ্দেশ্যে তৈরি নয় এমন কনটেন্টও প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
Published : 03 Jul 2024, 06:40 PM
কোম্পানির ওভারসাইট বোর্ডের সুপারিশে আরবি শব্দ ‘শহীদ’-এর ওপর থেকে কঠোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ফেইসবুকের মালিক মেটা প্ল্যাটফর্মস।
এ নিয়ে ওভারসাইট বোর্ডের বছরব্যাপী পর্যালোচনার পর দেখা গেছে, মেটার নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতি ব্যাপক ‘বিস্তৃতি নিয়ে’ ছিল। এরই ধারাবাহিকতায়, মেটা মঙ্গলবার নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মধ্যেপ্রাচ্যবিষয়ক কনটেন্ট নিয়ে বছরের পর বছর কোম্পানিটির সমালোচনা হয়েছে। ২০২১ সালে মেটার নিজের অর্থায়নে করা এক সমীক্ষায় উঠে আসে, তাদের পরিষেবা ব্যবহার করা ফিলিস্তিনি ও অন্যান্য আরবি ভাষার ব্যবহারকারীদের ওপরে কোম্পানির বিভিন্ন পদ্ধতি মানবাধিকার প্রশ্নে ‘বিরূপ প্রভাব’ ফেলছে।
গত বছর অক্টোবরে ইসরায়েল-হামাস দ্বন্দ্ব শুরু হওয়ার পর থেকে এ সমালোচনা আরও বেড়েছে। আর অন্য যে কোনো একক শব্দ বা বাক্যাংশের চেয়ে ‘শহীদ’ শব্দটির কারণে প্ল্যাটফর্ম থেকে বেশি কনটেন্ট সরিয়ে ফেলা হয়েছে বলেও উঠে আসে বোর্ডের প্রতিবেদনে।
বোর্ডের মতে, ‘শহীদ’ শব্দের বিভিন্ন অর্থ আমলে না নেওয়ার ফলে, সহিংসতার উদ্দেশ্যে তৈরি নয় এমন কনটেন্টও প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
মঙ্গলবার পর্যালোচনার ফলাফলগুলো স্বীকার করেছে মেটা।
কোম্পানির পর্যালোচনায় দেখা গেছে, শহীদ শব্দটি ব্যবহার হয়েছে এমন পোস্ট সরানো তখনই সবচেয়ে কার্যকর, যখন নিয়ম ভাঙতে পারে এমন পোস্টে শব্দটি ব্যবহার হয়। পদ্ধতিটি অন্যায়ভাবে মানুষের মত প্রকাশে বাধা না দিয়ে সবচেয়ে ক্ষতিকর কনটেন্ট শনাক্তে সাহায্য করে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।
এ পরিবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে ওভারসাইট বোর্ড বলেছে, শব্দের সঙ্গে সম্পর্কিত মেটার নীতি প্ল্যাটফর্ম জুড়ে লাখ লাখ মানুষকে ‘সেন্সর’ করার দিকে পরিচালিত করেছে।