গত সপ্তাহে টিকটক, বাইটড্যান্স ও অ্যাপ ব্যবহারকারীদের এই আইনের বিরুদ্ধে আনা আইনি চ্যালেঞ্জের মৌখিক যুক্তি শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট।
Published : 18 Jan 2025, 02:48 PM
হোয়াইট হাউস ছাড়ার আগের দিন থেকে কার্যকর হতে যাওয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জায়ান্ট টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর বদলে সিদ্ধান্ত পরবর্তী প্রেসিডেন্টের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন তিনি।
এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম স্কাই নিউজ।
পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার একদিন আগে, ১৯ জানুয়ারি থেকে টিকটকের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা শুরুর কথা ছিল।
গত বছরের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রে পাশ হওয়া নতুন আইন অনুসারে বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরে টিকটক নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল, যদি না এর মালিক কোম্পানি চীনা মালিকানাধীন বাইটড্যান্স অ্যাপটির যুক্তরাষ্ট্র অংশের ব্যবসা অন্য কোথাও বিক্রি করে।
মার্কিন বিচার বিভাগের যুক্তি, টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স চীনা মালিকানাধীন হওয়ায় টিকটক ‘দেশটির জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গভীর হুমকি’ তৈরি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, বাইডেন প্রশাসন এ সিদ্ধান্তটি ট্রাম্পের ওপর ছেড়ে দিতে যাচ্ছেন। সোমবার দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন তিনি।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক চালু রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ট্রাম্প। তবে কীভাবে এমনটি করবেন তা জানায়নি তার ট্রানজিশন টিম।
তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম মেয়াদে টিকটক নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্টে নির্বাচনী প্রচারণায় সাফল্যের কারণে টিকটকের প্রতি আমার হৃদয়ে ‘উষ্ণ জায়গা’ রয়েছে।
বুধবার মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে ডেমোক্র্যাটরা টিকটকের সময়সীমা বাড়ানোর জন্য আইন পাস করার চেষ্টা করেলেও তা আটকে দেন আরকানস-এর রিপাবলিকান সিনেটর টম কটন।
‘সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটি’র চেয়ারম্যান কটন বলেছেন, ক্রেতা খুঁজে বের করার জন্য যথেষ্ট সময় আছে টিকটকের কাছে।
“টিকটক একটি চীনা কমিউনিস্ট গুপ্তচর অ্যাপ, যা আমাদের শিশুদের আসক্ত করে, তাদের ডেটা সংগ্রহ করে, ক্ষতিকর ও ম্যানিপুলেটিভ কনটেন্ট দিয়ে তাদের টার্গেট করে ও তাদের মধ্যে কমিউনিস্ট প্রচারণা ছড়িয়ে দিচ্ছে,” বলেছেন কটন।
গত সপ্তাহে টিকটক, বাইটড্যান্স ও অ্যাপ ব্যবহারকারীদের এই আইনের বিরুদ্ধে আনা আইনি চ্যালেঞ্জের মৌখিক যুক্তি শুনেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে ধারণা ছিল, বাইডেনের স্বাক্ষরিত আইনটি বহাল রাখবেন বিচারকরা।