টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা সাধারণত সাংবাদিকদের চেয়ে বেশি মনযোগ দেন সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদের অ্যাকাউন্টে।
Published : 14 Jun 2023, 07:28 PM
বর্তমানে সংবাদ পাওয়ার জন্য প্রচলিত গণমাধ্যমের চেয়ে টিকটকের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্মগুলোয় বেশি ভরসা পান ব্যবহারকারীরা – এমনই উঠে এসেছে গবেষণায়।
২০১৮ সালের পর থেকে সংবাদভিত্তিক ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ব্যবহার কমেছে ১০ শতাংশ। মঙ্গলবার রয়টার্সের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন বলছে, ওই তুলনায় সামাজিক মাধ্যম, সার্চ ইঞ্জিন বা মোবাইল অ্যাগ্রিগেটরে খবর দেখতে পছন্দ করেন কম বয়সী ব্যবহারকারীরা।
নিজেদের বার্ষিক ডিজিটাল নিউজ রিপোর্টে ‘রয়টার্স ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ জার্নালিজম’ বলেছে, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম ও স্ন্যাপচ্যাটের মতো প্ল্যাটফর্মের ব্যবহারকারীরা সাধারণত সাংবাদিকদের চেয়ে বেশি মনযোগ দেন সেলিব্রিটি, ইনফ্লুয়েন্সার ও সামাজিক ব্যক্তিত্বদের অ্যাকাউন্টে।
ওই প্রতিবেদন অনুসারে, সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল সামাজিক মাধ্যম নেটওয়ার্ক হলো টিকটক। আর প্ল্যাটফর্মটির ২০ শতাংশ ১৮ থেকে ২৪ বছর বয়সী ব্যবহারকারী সংবাদের জন্য এটি ব্যবহার করে থাকেন, যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে পাঁচ শতাংশ। জরিপে অংশ নেওয়া অর্ধেকেরও কম উত্তরদাতা সংবাদ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ২০১৭ সালেও এই সংখ্যা ছিল ৬০ শতাংশ।
“সম্প্রচার ও ছাপা সংবাদ তো দূরের বিষয়, পুরোনো দিনের ওয়েবসাইট পছন্দেরও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই ২০০০’র দশকে জন্মানোদের। এর সহজ কারণ এগুলো পুরনো হয়ে গেছে।” – প্রতিবেদনে বলেন রয়টার্স ইনস্টিটিউটের পরিচালক রাসমুস নিলসেন। যুক্তরাষ্ট্র’সহ ৪৬টি বাজারের প্রায় ৯৪ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওপর চালানো এক অনলাইন জরিপের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে প্রতিবেদনটি।
জরিপের শেষ প্রশ্নে এক তৃতীয়াংশের কম উত্তরদাতা বলেন, আগের অভ্যাসের ভিত্তিতে বাছাই করা খবর বরং তাদের পছন্দ। সম্পাদক বা সংবাদকর্মীর চেয়ে অ্যালগরিদমের মাধ্যমে সংবাদ বাছাই করা খবরই বেশি পছন্দ করেন তারা। যদিও ২০১৬ সালের তুলনায় এই প্রবণতা ছয় শতাংশ কমেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
গত বছর সংবাদের ওপর গড়পরতা ভরসা কমেছে দুই শতাংশ। করোনা মহামারীর সময় অনেক দেশেই সংবাদ সবচেয়ে ভরসার জায়গা হিসেবে বিবেচিত হলেও এখন আর তেমন ঘটছে না। গড়ে ৪০ শতাংশ লোক বলছেন, তারা বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন সংবাদে বিশ্বাস করেন। যুক্তরাষ্ট্রে সংবাদের ওপর বিশ্বাস ছয় শতাংশ বেড়ে ৩২ শতাংশে গিয়ে ঠেকলেও এখনও জরিপে তালিকার সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে দেশটি।
৫৬ শতাংশ লোক বলছেন, তারা ইন্টারনেটে আসল ও জাল খবরের পার্থক্য শনাক্তের পদ্ধতি নিয়ে শঙ্কিত, এদের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে দুই শতাংশ।
জরিপে আরও দেখা গেছে ৪৮ শতাংশ পাঠক সংবাদ নিয়ে ‘অনেক বেশি’ আগ্রহী। ২০১৭ সালেও এই সংখ্যা ছিল ৬৩ শতাংশ।