আমেরিকার এ প্রকল্পের লক্ষ্য কোভিড লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে চিপের জন্য যেন অন্য কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়।
Published : 22 Dec 2024, 06:36 PM
এশিয়ার ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই চিপ উৎপাদন চায় মার্কিন সরকার। আর এরই অংশ হিসাবে তিনটি কােম্পানিকে মোট ৬৭৫ কোটি ডলারের অনুদান দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সেমিকন্ডাক্টর বা চিপের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেওয়া এই অর্থ পাচ্ছে স্যামসাং ও দেশটির দুই চিপ নির্মাতা কোম্পানি টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস ও অ্যামকর টেকনোলজি।
শুক্রবার ‘সিএইচআইপিএস ইনসেনটিভ প্রোগ্রাম’-এর আওতায় এই কর্মসূচি চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় (ডিওসি)।
অনুদান হিসাবে স্যামসাং পেয়েছে চারশ ৭৪ কোটি ডলার। তবে এই পরিমাণ এ বছরের শুরুতে ঘোষিত ছয়শ ৪০ কোটি ডলারের প্রাথমিক অনুদানের চেয়ে কম বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি বিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট।
আরেক চিপ নির্মাতা ‘টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস’ ও ‘অ্যামকর’কে যথাক্রমে একশ ৬১ কোটি ডলার ও ৪০ কোটি ৭০ লাখ ডলার অনুদান দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
আগামী কয়েক বছরে যুক্তরাষ্ট্রে চিপের মানোন্নয়ন ও উৎপাদন বাড়াতে তিন হাজার সাতশ কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে স্যামসাং।
চিপ তৈরিতে দুটি নতুন সুবিধার পাশাপাশি গবেষণা ও মানোন্নয়নের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে নিজেদের কার্যক্রম বাড়াবে কোম্পানিটি। একইসঙ্গে অস্টিন শহরে থাকা অফিসের নানাবিধ সুবিধা বাড়ানোরও পরিকল্পনা করছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক এই কোম্পানি।
এদিকে, তিনটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য কাজ করছে টেক্সাস ইনস্ট্রুমেন্টস। যার মধ্যে দুটি ভবন টেক্সাসে ও অন্য একটি ইউটাহ অঙ্গরাজ্যে। কোম্পানিটি বলেছে, এতে ২০২৯ সালের মধ্যে এক হাজার আটশ কোটি ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করবে তারা।
কোম্পানি নিয়ে পরিকল্পনায় পিছিয়ে নেই মার্কিন চিপ নির্মাতা ‘অ্যামকর’ও। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের পিওরিয়া শহরে চিপের উন্নত প্যাকেজিং ও পরীক্ষা ব্যবস্থা তৈরির জন্য দুইশো কোটি ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছে কোম্পানিটি।
রয়টার্স প্রতিবেদনে লিখেছে, চিপ তৈরির জন্য এটিই হবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় স্থাপনা।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, নির্দিষ্ট প্রকল্পের বিভিন্ন মাইলফলকে পৌঁছানোর শর্তে ধাপে ধাপে এই অর্থ পাবে কোম্পানিগুলো। প্রতি প্রকল্প হাজার হাজার কর্মসংস্থান তৈরিতে সহায়তা করবে এ অনুদান।
আমেরিকার এ প্রকল্পের লক্ষ্য কোভিড লকডাউনের মতো পরিস্থিতিতে চিপের জন্য যেন অন্য কোনো দেশের ওপর নির্ভর করতে না হয়।