কম্পিউটারের কাজ কতোখানি বাকি আছে তা বুঝতে ব্যবহারকারীদের জন্য এটি দরকার। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রগ্রেস বার নিপুণভাবে প্রতারণা করে।
Published : 26 Aug 2024, 05:04 PM
পিসিতে সফটওয়্যার ইনস্টল করা, ফাইল ডাউনলোড করার মতো কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা একটি প্রগ্রেস বার দেখতে পান, যেটি দেখে বোঝা যায় কাজ কতদূর হলো।
মন্দের ভালো বলে একটি কথা প্রচলিত আছে। এই প্রগ্রেস বারকে অনেকেই বলেন, ‘ভালোর মন্দ’। কম্পিউটারের কাজ কতোখানি বাকি আছে তা বুঝতে ব্যবহারকারীদের জন্য এটি দরকার। তবে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রগ্রেস বার নিপুণভাবে প্রতারণা করে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট হাও-টু গিক।
নন-লিনিয়ার প্রগ্রেসন
সাধারণত প্রগ্রেস বার সরল রেখার মতো দেখায়। মনে হতে পারে কোনো ক্রীড়াবিদ একশ মিটার স্প্রিন্ট দৌড়াচ্ছেন। তবে, বাস্তবে কম্পিউটার কাজ করে গোলকধাঁধার মতো।
এ কারণেই প্রগ্রেস বার স্থির বাঁধাধরা গতিতে আগায় না। এর পরিবর্তে এটি সামান্য সামনের দিকে যায়, এরপর দাঁড়িয়ে থাকে, তারপর আবার সামনে লাফ দেওয়ার আগে ধীরে ধীরে কিছুক্ষণ বাড়তে থাকে।
কত শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে তার সঠিক উপস্থাপনা হলেও, কত সময় গড়িয়েছে বা কত সময় লাগবে তা ঠিক বোঝার উপায় নেই। সব প্রগ্রেস বার-এ আনুমানিক ‘টাইম কাউন্টার’ থাকলেও তা খুব একটা কাজের নয় বলে উল্লেখ রয়েছে হাও-টু গিক এর প্রতিবেদনে।
স্টার্টিং জাম্প ফেকআউট
কিছু প্রগ্রেস বার শুরুতেই লম্বা লাফ দিয়ে অনেকটা বেড়ে যায়। এরপর একই জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকে অনেকক্ষণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শুরুতেই ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত দ্রুত বাড়তে থাকে এটি, এরপর গতি কমে যায়। আরও গুরুতর ক্ষেত্রে এক লাফে ৯০ শতাংশে গিয়ে আটকে থাকে। এরপর প্রক্রিয়ার আসল সময় জুড়ে বাকি ১০ শতাংশ সামনে আগায়।
অ্যানিমেটেড বার
প্রগ্রেস বারের অন্যতম প্রধান কাজ হল ব্যবহারকারীকে বোঝানো যে ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ চলছে, প্রক্রিয়াটি আটকে যায়নি। বারটি চলতে থাকলে এটি বোঝানো সহজ, কিন্তু সেটা তো সবসময় হয় না। ফলে, কিছু প্রগ্রেস বারে সামান্য অ্যানিমেশন যোগ করা থাকে। আর এসব অ্যানিমেশন ক্রমাগত নড়তে থাকে যাতে মনে হয় কাজ চলছে। তবে, অনেক সময় কাজের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলেও অ্যানিমেশন দেখে মনে হতে পারে উল্টোটা।
১০০ শতাংশেও কাজ না হওয়া
এটি অনেকেই দেখে থাকবেন। প্রগ্রেস বার একশ শতাংশে পৌঁছে গেছে, মনে হচ্ছে ইনস্টল বা ডাউনলোড একেবারেই শেষ। কিন্তু স্ক্রিনের ১০০ শতাংশ দেখালেও পিসিটি কাজ করেই চলেছে। কাজ বাকি থাকতেই কেন প্রগ্রেস বারে একশ উঠে বসে থাকে তা স্পষ্ট নয় বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট হাও-টু গিক।
একাধিক প্রগ্রেস বার
কিছু কোম্পানি গোটা প্রক্রিয়াকে কয়েকভাগে ভাগ করে, যার প্রতিটির আলাদা আলাদা প্রগ্রেস বার রয়েছে। এটি স্বাভাবিক গতিতে চলা অন্যান্য প্রগ্রেস বারের মতোই। তবে, এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে পাঁচ ছয়টা প্রগ্রেস বার দেখতে হবে। অর্থাৎ গোটা কাজের বদলে প্রক্রিয়ার কয়েকটি অংশ দেখাবে এ বার।
কম্পিউটারের চোখের পলকে প্রতিটি কাজ শেষ করার ক্ষমতা অর্জন করেনি। কারণ, কম্পিউটার কর্মক্ষমতার সঙ্গে ধাপে ধাপে কাজের জটিলতাও বাড়তে থাকে। ফলে, ব্যবহারকারীদের ব্যস্ত রাখার জন্য প্রগ্রেস বার হয়তো সবসময়ই থাকবে। আর আসল কাজ হবে স্ক্রিনের পেছনে।