ইনস্টাগ্রামের এ নতুন অ্যাপটির অদ্ভুত মিল রয়েছে টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপ ক্যাপকাট-এর সঙ্গে।
Published : 21 Jan 2025, 06:05 PM
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ফিচার এরইমধ্যে চালু করেছে ইনস্টাগ্রাম। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে রোববার ‘এডিটস’ নামের নতুন এক ভিডিও তৈরির অ্যাপ চালুর ঘোষণা দিয়েছে ইনস্টাগ্রামের মূল কোম্পানি মেটা।
মূলত টিকটক ব্যবহারকারীদের টানতেই এমন উদ্যোগ বলে প্রতিবেদনে লিখেছে সিএনএন।
টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন অ্যাপ ক্যাপকাট-এর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামের এ নতুন অ্যাপটির অদ্ভুত মিল রয়েছে। অনেক নির্মাতা টিকটক ভিডিও তৈরি করতে এই অ্যাপটি ব্যবহার করেন।
শুক্রবার ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি বলেছেন, ইনস্টাগ্রামের প্রোফাইল ছবি গ্রিডগুলো এখন থেকে অ্যাপের সিগনেচার বর্গাকারের বদলে আয়তাকার ছবি দেখাবে। টিকটকের বিভিন্ন প্রোফাইল পেইজ যেমন দেখতে তার সঙ্গে এই লেআউটের বেশ মিল রয়েছে।
শনিবার মোসেরি বলেছেন, রিলস ভিডিওর সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৯০ সেকেন্ড থেকে বাড়িয়ে তিন মিনিট করবে ইনস্টাগ্রাম। এরও মিল আছে টিকটকের সঙ্গে।
“শর্ট ভিডিও তৈরির ওপর জোর দিতে আমরা কেবল ৯০ সেকেন্ড পর্যন্ত রিল ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছি। তবে আমরা এমন সাড়াও পেয়েছি যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বড় গল্প সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান তাদের জন্য এ সময় খুবই ছোট,” শনিবার ইনস্টাগ্রাম পোস্টে বলেছেন মোসেরি।
এ নতুন এডিট অ্যাপ নিয়ে রোববার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ভিডিওতে মোসেরি বলেছেন, “এই মুহূর্তে বিশ্বে অনেক কিছু ঘটছে ও যাই ঘটুক না কেন আমরা মনে করি যেসব ব্যবহারকারীরা কেবল ইনস্টাগ্রাম নয়, বরং প্ল্যাটফর্মের জন্য ভিডিও তৈরি করেন তাদের জন্য আকর্ষণীয় সৃজনশীল টুল তৈরি করাই আমাদের কাজ।”
এ নতুন অ্যাপ নিয়ে মন্তব্যের জন্য সিএনএনের অনুরোধে সাড়া দেয়নি ইনস্টাগ্রাম।
২০২০ সালে জনপ্রিয়তা পাওয়ার পর থেকেই ইনস্টাগ্রামের জন্য বড় এক হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে টিকটক। ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মনোযোগ ও সময় কেড়ে নিয়েছে এবং অ্যাপটিকে তাদের পুরানো অ্যালগরিদম নিয়ে নতুন করে কাজ করতে বাধ্য করেছে টিকটক।
এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ২০২০ সালে প্রথমবার টিকটকের মতো রিলস ভিডিও চালু করে ইনস্টাগ্রাম।
প্রতিবেদন বলছে, টিকটক বন্ধ হলে গেলেও ব্যবহারকারীরা হয়ত ইনস্টাগ্রামের দিকে ঝুঁকতেন না। কারণ টিকটক শাটডাউনের আগের সপ্তাহে ‘রেডনোট’ নামে আরেক চীনা মালিকানাধীন অ্যাপের জনপ্রিয়তা বেড়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। সেই তুলনায় সামান্যই বেড়েছে ইনস্টাগ্রামের ব্যবহার।