আপডেটটি কেবল অ্যাপলের সর্বশেষ ‘এয়ারপডস প্রো ২’তেই কাজ করবে। এটিকে আপডেটেড আইফোন ও আইপ্যাডের সঙ্গে সমন্বয় করে সেট আপ করতে হবে।
Published : 25 Feb 2025, 02:05 PM
নতুন এক আপডেটের মাধ্যমে তাদের এয়ারপডস প্রো’কে ‘হিয়ারিং এইড’-এ পরিণত করবে অ্যাপল।
যুক্তরাজ্যে এখন এমন একটি সফটওয়্যার আপডেট পাওয়া যাচ্ছে, যা ইয়ারফোনে শব্দের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। এর ফলে যেসব শব্দ শ্রোতার শ্রবণক্ষমতার বাইরে, সেগুলোও তারা শুনতে পারেন।
এ আপডেটটি কেবল অ্যাপলের সর্বশেষ ‘এয়ারপডস প্রো ২’তেই কাজ করবে এবং এটিকে আপডেটেড আইফোন ও আইপ্যাডের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবহারকারীদের সেটআপ করতে হবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
গত বছর আইফোনের সঙ্গে চালু হওয়া ‘হিয়ারিং হেলথ’ ফিচারের অংশ হিসেবে ‘হিয়ারিং এইড’ ফিচারটি ঘোষণা করে অ্যাপল। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কর্মকর্তাদের অনুমোদনের সাপেক্ষে ধীরে ধীরে বিভিন্ন স্থানে ফিচারটি চালু করছে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।
এ ফিচারের ব্যবহার শুরু হয় একটি পরীক্ষার মাধ্যমে, যেখানে ব্যবহারকারীরা স্পষ্ট করে দেন যে তারা হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার কোন শব্দ শুনতে পাচ্ছেন ও কোনগুলো পাচ্ছেন না। এরপর সেটি আইফোনে সংরক্ষণ করার মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে।
যেমন– আইফোন বা আইপ্যাড শ্রবণশক্তি কমের নির্দিষ্ট বিভিন্ন অংশ মনে রাখবে। তারপরে ডিভাইসে দেখা গান ও সিনেমার শব্দের সঙ্গে ব্যবহারকারীদের কানে শোনার শব্দের মাত্রাকে তা সমন্বয় করবে।
তবে এয়ারপডস ব্যবহারের সময়ও বাস্তব বিশ্বের শব্দের মাত্রাকে বাড়াতে ও কমাতে পারবে এ ফিচারটি। ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবহারকারীদের আরও ভালোভাবে শুনতে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
অ্যাপল বলেছে, যারা কানে কম শুনতে পান তাদেরকেও এ ফিচারটি সহায়তা করবে।
এক বিবৃতিতে অ্যাপলের স্বাস্থ্য বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. সুম্বুল দেশাই বলেছেন, “আমরা বিশ্বাস করি মানুষকে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে সহায়তা করতে পারে অ্যাপলের প্রযুক্তি। যুক্তরাজ্যে হিয়ারিং এইড ফিচার আনতে পেরে আমরা আনন্দিত, যা আমাদের ব্যবহারকারীদের এয়ারপডস প্রো ২-এর মাধ্যমে একটি এন্ড-টু-এন্ড হিয়ারিং হেলথ অভিজ্ঞতা দেবে।”