গুগলসহ বিভিন্ন বিদেশী প্রযুক্তি কোম্পানি রাশিয়ায় কনটেন্ট পরিচালনা নিয়ে বেশ কিছু বছর ধরেই চাপের মুখে রয়েছে।
Published : 21 Dec 2024, 04:14 PM
সার্চ জায়ান্ট গুগলকে মার্কিন সরকারের রাজনৈতিক কার্যক্রমে ব্যবহৃত টুল বলে অভিযোগ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বৃহস্পতিবার করা অভিযোগে তিনি রাশিয়ার ভিডিও হোস্টিং প্ল্যাটফর্মের গতি কমানোর জন্য ইউটিউবকেও দোষারোপ করেছেন বলে প্রতিবেদনে লিখেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গুগলসহ বিভিন্ন বিদেশী প্রযুক্তি কোম্পানি রাশিয়ায় কনটেন্ট পরিচালনা নিয়ে বেশ কিছু বছর ধরেই চাপের মুখে রয়েছে। দেশটির সরকার টুইটার (বর্তমানে এক্স), ফেইসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো শীর্ষ সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নিষিদ্ধ করলেও সম্ভবত ইউটিউব নিষিদ্ধ করতে অনিচ্ছুক, যা দৈনিক অন্তত পাঁচ কোটি নাগরিক ব্যবহার করেন।
অনেক সমালোচকের ধারণা কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ইউটিউব সংযোগ ব্যহত করছে যাতে রাশিয়ানরা পুতিন ও সরকারের সমালোচনামূলক কনটেন্ট দেখতে না পান।
বিষয়টি রাশিয়া অস্বীকার করে বলে, এসব সমস্যা হচ্ছে কারণ গুগল তাদের টুল আপগ্রেড করতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে, এ অভিযোগ কোম্পানি ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে বলে লিখেছে রয়টার্স।
পুতিন নিজের বার্ষিক ফোন-ইন-এ রাশিয়ার নাগরিকদের সম্বোধন করে ও মস্কোর অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশটিতে কোম্পানির প্রাসঙ্গিক সরঞ্জাম সরবরাহ এবং ব্যয় কমিয়েছে, ফলে সার্চ জায়ান্ট নিজের জন্যই সমস্যা তৈরি করেছে।
“দ্বিতীয়ত, ইউটিউব ও গুগল অবশ্যই আমাদের আইনগুলো মেনে চলবে। ইন্টারনেটে যে কোনো ধরনের প্রতারণা এড়াতে হবে। আর বিশেষ করে, তাদের সরকারের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার বা অপব্যবহার করা যাবে না।” – বলেন পুতিন।
এ প্রসঙ্গে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তাৎক্ষণিক সাড়া দেয়নি গুগল।
আগস্টে ইউটিউব জানিয়েছিল, রাশিয়ার কিছু ব্যবহারকারী ভিডিও প্ল্যাফর্মটি ব্যবহারে যে সমস্যায় পড়েন সে বিষয়ে কোম্পানি জানত। তবে, এটি ইউটিউবের কোনো পদক্ষেপ কিংবা প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নয় বলেও উল্লেখ ছিল সেখানে।
বিতর্কিত রাশিয়ান উদ্যোক্তা পাভেল দুরভের প্রতিষ্ঠা করা টেলিগ্রাম, রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানি ভিকের চালিত দেশীয় প্ল্যাটফর্ম ভিকে ভিডিও’র কথা উল্লেখ করে পুতিন বলেন এ খাতে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। তবে, প্ল্যাটফর্মগুলোর কোনোটিই ভিডিও হোস্টিংয়ের বেলায় ইউটিউবের বাজার দখল করতে পারেনি বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
কন্টেন্ট হোস্টিং ছাড়াও মস্কো আরও বলেছে, ইউক্রেইনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এক হাজারের বেশি চ্যানেল ব্লক করেছে ইউটিউব; যেখানে রাষ্ট্রিয় পৃষ্ঠপোষকতায় খরবসহ ৫৫ লাখের বেশি ভিডিও ছিল।
ক্রেমলিন আশা প্রকাশ করেছে, গুগলের বিরুদ্ধে বড় বড় আইনি দাবি কোম্পানির অবস্থান পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে।