জাপান প্রায় এক হাজার ৯০০ সরকারি কার্যক্রমে ফ্লপি ডিস্ক ও অন্যান্য সেকেলে প্রযুক্তি, যেমন ফ্যাক্স মেশিন, সিডি, মিনিডিস্ক ব্যবহার করত।
Published : 04 Jul 2024, 04:19 PM
বর্তমান প্রযুক্তির যুগে ফ্লপি ডিস্কের নাম শুনলে মনে হতেই পারে প্রাচীন যুগের কোনো ইতিহাসের কথা শুনছেন। তবে, এখনও বিশ্বের এমনকিছু দেশ ও সরকার রয়েছে যারা মৌলিক কিছু কাজের জন্য ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করে থাকে।
এমনই একটি দেশ ছিল জাপান। অবশেষে জাপান সরকার ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার বন্ধ করছে।
বুধবার জাপানের ডিজিটাল এজেন্সি বিষয়টি ঘোষণা করেছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। সরকারি কম্পিউটার ব্যবস্থা পরিচালনার ক্ষেত্রে পুরনো ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার করত দেশটি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার এখনও চালিয়ে যাওয়া একমাত্র জাপানি বিভাগ হচ্ছে দেশটির পরিবেশ বিষয়ে নজর রাখা যানবাহন রিসাইকল অফিস।
“আমরা ২৮ জুন ফ্লপি ডিস্কের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ী হয়েছি!” – এক বিবৃতিতে ঘোষণা করেছেন জাপানের ডিজিটাল মন্ত্রী তারো কোনো।
২০২২ সালে ডিজিটাল এজেন্সিতে নিয়োগ পাওয়ার পরপরই নব্বইয়ের দশকের কম্পিউটার প্রযুক্তির বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর কথা বলেন কোনো। জাপান প্রায় এক হাজার ৯০০ সরকারি কার্যক্রমে ফ্লপি ডিস্ক ও অন্যান্য সেকেলে প্রযুক্তি, যেমন ফ্যাক্স মেশিন, সিডি, মিনিডিস্ক ব্যবহার করত।
নিয়োগ পাওয়ার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ (পূর্বে টুইটার), নিজের ২৫ লাখ অনুসারীর কাছে, “ফ্লপি ডিস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধ” ঘোষণা করেছিলেন কোনো, যেটি সে সময় ব্যাপক আলোচিত হয়।
তবে, গোটা বিশ্ব আধুনিক প্রযুক্তি আয়ত্ত করলেও, জাপানই একমাত্র দেশ নয় যারা এখনও এমন সেকেলে প্রযুক্তি ব্যবহার করছিল বলে লিখেছে এনগ্যাজেট।
মার্কিন সামরিক বাহিনী ‘স্ট্র্যাটেজিক অটোমেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’ (এসএসিসিএস) পরিচালনার জন্য আট ইঞ্চি ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করত। এসএসিসিএস হল ১৯৭০-এর একটি কম্পিউটার ব্যবস্থা যা পারমাণবিক উৎক্ষেপণ কোড পেত; আর এসব কোড জরুরিভিত্তিতে সামরিক কেন্দ্র ও পারমাণবিক ক্ষেত্রে পাঠাত।
মার্কিন টিভি চ্যানেল সিবিএস-এর ‘৬০ মিনিটস’ অনুষ্ঠান ও প্রতিবেদক লেসলি স্টাল এসএসিসিএস-এর ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। অবশেষে ২০১৯ সালে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থাটি বন্ধ করেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।