মহামারীর পর স্ট্রিমিং খাতে সামগ্রিক আয় বেড়েছে দ্বিগুণ। এর ৩৫ শতাংশ আয়ই গেছে সঙ্গীত নির্মাতাদের পকেটে, যা টেলিভিশন ও রেডিও’কেও ছাড়িয়ে গেছে।
Published : 27 Oct 2023, 04:03 PM
২০২২ সালে সুরকার ও গীতিকারদের আর্থিক আয়ের সবচেয়ে বড় উৎস হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে স্ট্রিমিং সেবা --এমনটাই উঠে এসেছে এক প্রতিবেদনে।
অলাভজনক সংস্থা ‘কনফেডারেশন অফ সোসাইটিস অফ অথর্স অ্যান্ড কম্পোজার্স (সিআইএসএসি)’ বলেছে, ২০২২ সালে ডিজিটাল রয়ালটি খাতে তাদের আয় বেড়েছে প্রায় ৩৪ শতাংশ বা ৪২০ কোটি ইউরো।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুসারে, বিভিন্ন স্ট্রিমিং সেবায় গীতিকার ও সুরকারদের আয় চার গুণ বেড়ে গিয়ে ঠেকেছে এক হাজার ১৩ কোটি ইউরোতে বা এক হাজার একশ ৪৪ কোটি ডলারে।
মহামারীর পর স্ট্রিমিং খাতে মোট আয় হয়েছে দ্বিগুণ। এর ৩৫ শতাংশ আয়ই সঙ্গীত নির্মাতাদের, যা টেলিভিশন ও রেডিও’কেও ছাড়িয়ে গেছে।
২০২২ সালে কনসার্ট, প্রদর্শনী ও থিয়েটার’সহ লাইভ পারফর্মেন্স খাত থেকে আয় বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ (২৬৮ কোটি ইউরো)। তবে, ২০১৯ সালের আগে অর্থাৎ প্রাক মহামারী যুগের তুলনায় এই সংখ্যা প্রায় আট শতাংশ কম।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সাল থেকে মঞ্চ বিনোদন খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। এমনকি পুনরায় প্রাক মহামারী যুগের পর্যায়ে পৌঁছাতেও বেশি সময় লাগবে না।
তবে, গ্রাহকের খরচ কমিয়ে দেওয়া ও শিল্পীদের কনসার্ট ট্যুরের বাজেটে খড়্গ টানার ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে।
এ সপ্তাহে মিউজিক স্ট্রিমিং জায়ান্ট স্পটিফাই জানিয়েছে, এ প্রান্তিকে সেবাটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারী সংখ্যা ২৬ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ঠেকেছে ৫৭ কোটি ৪০ লাখে। এমনকি বিশ্লেষকদের অনুমিত ৫৬ কোটি ৫৭ লাখের চেয়েও বেশি এটি।
সিআইএসএসি’র প্রেসিডেন্ট ও সুইডিশ ব্যান্ড ‘আববা’র সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিয়র্ন উলভিয়েস বলেন, আগামীতে এ শিল্প থেকে আয়ে প্রভাব ফেলতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা।