নিজস্ব সামাজিক মাধ্যমে ঘৃণামূলক বক্তব্য কমিয়ে আনার উদ্দেশ্যে টিকটক ও এক্স-কে কার্যক্রম বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ভেরা জউরোভা।
মঙ্গলবার টিকটকের সিইও শউ চিউ ও এক্স-এর বৈশ্বিক জননীতি বিভাগের প্রধান নিক পিকলসের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ইইউ’র ডিজিটাল বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করা জউরোভা। এর মধ্যেই বিভিন্ন শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে ঘৃণামূলক কনটেন্ট সরানো নিয়ে তদন্ত করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গত মাস থেকেই বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানি তদন্তের মুখে পড়েছে। ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ওপর হামাসের আক্রমণ সংশ্লিষ্ট ঘৃণামূলক কনটেন্ট ও ভুল তথ্য ঠেকানোর লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নিয়েছে ইইউ, যেখানে হামাসকে একটি জঙ্গি সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে সংস্থাটি।
এর পাশাপাশি, ২০২৪ সালের জুনে হতে যাওয়া ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচন বিষয়ক ভুল তথ্যও ঠেকানোর লক্ষ্যস্থির করেছে ইইউ।
গত বছর চালু হওয়া ইইউ’র ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট অনুসারে, সম্ভাব্য জরিমানা এড়াতে বিভিন্ন শীর্ষ অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও সার্চ ইঞ্জিনকে অবশ্যই ঘৃণামূলক ও অনৈতিক কনটেন্ট সরাতে হবে।
টিকটক বলেছে, হামাসের আক্রমণের পর থেকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ও ছয় হাজারের বেশি মডারেটরের সহায়তায় তারা এমন লাখ লাখ পোস্ট সরিয়েছে। এ ছাড়া, শিশু নিপীড়ন বিষয়ক কনটেন্ট সরানোর জন্যেও তারা বিশেষভাবে বড় এক দল নিয়োগ দিয়েছে।
এক্স সম্পর্কে জউরোভার মুখপাত্র বলেন, তিনি কোম্পানির কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে সন্তুষ্ট। তবে, অবৈধ ও নেতিবাচক কনটেন্ট ও শিশু নিপীড়ন নিয়ে টিকটককে আরও কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এক্স-এর বেলায় জউরোভা বলেন, ভুল তথ্য ঠেকানোর জন্য তাদের ইউরোপীয় ভাষাভাষী কর্মীর সংখ্যা যথেষ্ট নয়। এ ছাড়া, সামাজিক মাধ্যমটিতে দেখানো সহিংস ও অবৈধ কনটেন্টের সংখ্যা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
জউরোভার মুখপাত্রের তথ্য অনুসারে, এক্স-এর জননীতি প্রধান পিকলস বলেছেন, হামাসের আক্রমণের পর কেবল এক্স নয়, বরং সকল অনলাইন প্ল্যাটফর্মেই সহিংস কনটেন্টের সংখ্যা বেড়েছে।
এর আগে মেটা ও ইউটিউবের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠক করা জউরোভা বলেন, অন্যান্য শীর্ষ সামাজিক মাধ্যমের তুলনায় এক্স ভাষা নিয়ে কম কাজ করে, যা ইইউ’র নির্বাচনে এক্স-এর প্রস্তুতি নিয়ে শঙ্কা বাড়াচ্ছে।