এক মাস পর লেনদেন ছাড়াল ৫০০ কোটি টাকা।
Published : 30 Oct 2024, 06:55 PM
টানা দরপতনে ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রণোদনার বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানের ঘোষণার পর পুঁজিবাজার সূচকের বড় উত্থান হলো। বেড়েছে লেনদেনও।
মঙ্গলবার ১১৮ পয়েন্টের পর বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইর সার্বিক সূচক ডিএসইএক্সের ১৪৭ পয়েন্ট উত্থানে বিনিয়োগকারীদের মনের চাপ কিছুটা কাটলেও বিপুল পরিমাণ আর্থিক লোকসান রয়ে গেছে।
একমাস পড়ে লেনদেন ৫০০ কোটি টাকার ঘর অতিক্রম করেছে। সারা দিনে ৫১৯ কোটি ৩১ লাখ ২৭ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এর আগে সবশেষ ৫০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল ৩০ সেপ্টেম্বর।
মঙ্গলবার বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সাংবাদিকদেরকে বলেন, শেয়ারবাজারের উন্নয়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা দিতে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসব সহায়তার আওতাভুক্ত হবেন ব্যক্তিশ্রেণির সাধারণ বিনিয়োগকারী, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, উচ্চ সম্পদশালী বিনিয়োগকারী ও বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
বুধবার বিএসইসি কার্যালয় পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ। এই ঘটনায় বিনিয়োগকারীরা আশাবাদী হয়।
লেনদেনের দিনে অংশ নেয়া ৩৯৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭৩টির, কমেছে ১৫টির আগের দরে লেনদেন করে ৯টি।
৮০টিরও বেশি কোম্পানির দর বেড়েছে সার্কিট ব্রেকার ছুঁয়ে। আরও শতাধিক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ৬ থেকে ৯ শতাংশ।
শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ায় একদিনেই বাজার মূলধন ফিরেছে ১২ হাজার কোটি টাকা। আগের দিনও বেড়েছিল আট হাজার কোটি টাকা।
৯৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল করে খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে ছিল ব্যাংক খাত, যা ডিএসইর লেনদেনের ২০ শতাংশের কাছাকাছি।
লেনদেনের ১৭ শতাংশ হয় ওষুধ ও রসায়ন খাতের। তৃতীয় অবস্থানে থাকা বস্ত্রখাতের অবদান ছিল ৯ দশমিক ২৮ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ দশে ছিল সিএনএ টেক্সটাইলস, মনোস্পুল পেপার, নাভানা ফার্মা, ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, মুন্নু ফেব্রিক, ন্যাশনাল ব্যাংক, কুইনসাউথ টেক্সটাইলস, জনতা ইন্স্যুরেন্স, ফুওয়াং ফুড, সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স। সবগুলোর দরই বেড়েছে ১০ শতাংশ।
অন্যদিকে অন্যদিকে দর হারানো ১৫ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্লোজিং প্রাইস বিবেচনায় শীর্ষে ছিল মিডল্যান্ড ব্যাংক। ৭ দশমিক ৯২ শতাংশ কমেছে শেয়ারদর।
ছয় শতাংশের উপরে দর হারিয়েছে বিআইএফসি, তিন শতাংশের বেশি দর হারায় নিউ লাইন ক্লোথিং, দুই শতাংশ হারায় প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স আর এক শতাংশের বেশি দর হারায় অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, ডেসকো, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, খান ব্রাদার্স, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইসলামী ব্যাংক।