বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার দিন রেকর্ড ৩০৬ পয়েন্ট সূচক বাড়ে। সেদিনই সব ফ্লোর প্রাইস তোলার সিদ্ধান্ত হয়।
Published : 10 Aug 2024, 01:01 AM
আগামী বুধবার থেকে পুঁজিবাজারে কোনো কোম্পানির শেয়ারদরে সর্বনিম্ন সীমা বা ফ্লোর প্রাইস থাকছে না।
ফ্লোর প্রাইজ নিয়ে শেয়ারদর আটকে রাখা হয়েছে, এমন ছয়টি কোম্পানির মধ্যে তিনটির প্রত্যাহার হবে রোববার। এগুলো হল বেক্সিমকো লিমিটেড, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ার।
বাকি তিন কোম্পানি বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে বুধবার।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনদিনে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ৬৯৫ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির পর এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এমন চিঠি দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মুহাম্মদ মেজবাউল করিম।
শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, চিঠিতে সই করেছেন গত মঙ্গলবার থেকে অফিসে না আসা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত উল-ইসলাম।
অফিসে না আসলেও দাপ্তরিক আদেশে কীভাবে সই করেছেন, তার কোনো উত্তর জবাব পাওয়া যায়নি বিএসইসির কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তার কাছ থেকে।
২০২০ সালে করোনাভাইরাস মহামারীর সময় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার দায়িত্ব পেয়ে শেয়ারদরে পতন ঠেকাতে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বে কমিশন।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রুশ হামলার পর বাজারে ধসের মধ্যে আবার একই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এভাবে কৃত্রিমভাবে শেয়ারদর ধরে রাখার চেষ্টা নিয়ে অবশ্য সমালোচনা ছিল। দর ধরে রাখলেও শেয়ার বিক্রি করতে পারছিলেন না বিনিয়োগকারীরা।
এরপর ধাপে ধাপে কোম্পানিগুলোর ফ্লোর প্রাইস তুলে দেওয়া হতে থাকে। গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ছয়টি কোম্পানি বাদ দিয়ে সবগুলোর ফ্লোর তুলে দেওয়া হয়।
এরপর পুঁজিবাজারে ফের দরপতন হতে থাকে। সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর পতন আরও ব্যাপক হয়। সরকার পতনের দাবিতে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পর ধস পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে সরকার পতনের পর তিন কর্মদিবসে ব্যাপক উত্থান দেখে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেওয়ার দিন রেকর্ড ৩০৬ পয়েন্ট সূচক বাড়ে। এতে বিনিয়োগকারীদের লোকসান কিছুটা হলেও কমে আসছে। সেই সঙ্গে বাজারে ফিরছে টাকা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন সরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার নেতৃত্বে পরিবর্তন হচ্ছে। এর মধ্যে বিএসইসির চেয়ারম্যান তার কর্মস্থলে অনুপস্থিত আছেন।
গত ২৮ এপ্রিল চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ পান শিবলী।