ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ ২০২১ সালের জন্য বিনিয়োগকারীদের আরও ১৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেবে।
Published : 10 Feb 2022, 06:32 PM
বৃহ্স্পতিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে এ কোম্পানির চূড়ান্ত লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়।
এর আগে তারা অর্ন্তবর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল বিনিয়োগকারীদের। নতুন ঘোষণার পর সব মিলিয়ে ২০২১ সালের জন্য ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ পাবেন এ কোম্পানির শেয়ারধারীরা।
পাশাপাশি কোম্পানির পুরো বছরের মুনাফা বাড়ার খবরও দিয়েছে বিএটি-বিসি।
লভ্যাংশের ঘোষণা দিলেও বৃহস্পতিবার দাম কমেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ারের।
বুধবার এ কোম্পানির শেয়ার ৬৪৪ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছিল, বৃহস্পতিবার তা ১৭ টাকা কমে ৬২৭ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।
ডিএসইর ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিএটি-বিসি প্রতি শেয়ারে ২৭ টাকা ৭২ পয়সা মুনাফা করেছে। আগের বছর প্রতি শেয়ারে মুনাফা ছিল ২০ টাকা ১৬ পয়সা।
এ সময়ে তাদের শেয়ার প্রতি নগদ অর্থের প্রবাহ কমেছে। ২০২০ সালের ২৭ টাকা ৮১ পয়সা থেকে কমে ২০২১ সালে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সা হয়েছে।
২০২১ সালে এ কোম্পানির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬৮ টাকা ১৩ পয়সা, যা আগের বছর ৬২ টাকা ৯৬ পয়সা ছিল।
১৯৭৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির শেয়ার বর্তমানে লেনদেন হচ্ছে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে।
২০২০ অর্থবছরে ১ হাজার ৮৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা মুনাফা করে বিনিয়োগকারদের ৬০ টাকা নগদ এবং প্রতি একটি শেয়ারে নতুন ২টি শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল বিএটি-বিসি।
২০১৯ অর্থবছরে ৯২৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল; লভ্যাংশ দিয়েছিল শেয়ার প্রতি ৪০ টাকা।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ৫৪ কোটি শেয়ার রয়েছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৯১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে। সরকারের হাতে আছে দশমিক ৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১১ দশমিক ৯৪ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে ৮ দশমিক ১০ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে ৬ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ার।
বিএটিবিসির বর্তমান বাজার মূলধন ৩৪ হাজার ৮০৩ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ২ হাজার ৮৬৮ কোটি ৩ লাখ টাকা।