মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) মিট দ্য রিপোর্টার্স অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
দুটি প্রতিষ্ঠানই বেক্সিমকো গ্রুপের, যেটির ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।
ডিআরইউর অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, জিএমজি এয়ারলাইন্সের প্লেসমেন্ট শেয়ারধারী অনেককে টাকা দেওয়া হয়েছে; কিছু টাকা বাকি আছে সেটাও ফেরত দেওয়া হবে।
“জিএমজি এয়ারলাইন্স এমন অবস্থায় ছিল এটা চলতে থাকলে লোকসান আরো বাড়ত। তাই সেটা বন্ধ করে দিয়ে লোকসান কমানো হয়েছে। এছাড়া বেক্সিমকো সিনথেটিকও লোকসান করছিল। তাই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
বেক্সিমকো সিনথেটিকের ২০ কোটি টাকার মতো বিনিয়োগকারীরা পাবেন উল্লেখ করে সালমান বলেন, “ডিএসই যদি আমাকে জানায় কীভাবে এই টাকা ফেরত দিতে হবে, আমি সেই টাকা দিয়ে দিব। টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান আছে।”
অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী পরিবহনে ১৯৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় জিএমজি এয়ারলাইন্স। শুরু থেকেই এটি লোকসানে ছিল। বেক্সিমকো গ্রুপ ২০০৯ সালে এ এয়ারলাইন্সের বেশিরভাগ শেয়ার কিনে নেয়।
পরে এ এয়ারলাইন্সের মূলধন বাড়াতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রি করে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির অনুমতি পায়নি জিএমজি এয়ারলাইন্স। এতে এর প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনা বিনিয়োগকারীদের টাকা আটকে যায়।
প্লেসমেন্ট শেয়ার বিক্রির সময় জিএমজি ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারের সঙ্গে ৪০ টাকা প্রিমিয়াম ধরে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৫০ টাকা করে নেয়। এভাবে বাজার থেকে সংগ্রহ করা হয় ৩০০ কোটি টাকা।
বেক্সিমকো গ্রুপের আরেক কোম্পানি বেক্সিমকো সিনথেটিক দীর্ঘদিন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ছিল।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে টানা লোকসানি এ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন স্থগিত করা হয়। কারখানা বন্ধ করে দিয়ে পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুতির আবেদন করে কোম্পানিটি।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান পুঁজিবাজারের বর্তমান অবস্থা নিয়েও কথা বলেন।
পুঁজিবাজার উন্নয়নে সরকারের পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে তিনি
বলেন, “দেশের পুঁজিবাজারে দুটি কাঠামোগত সমস্যা আছে। একটি হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী কম। পৃথিবীর বেশির ভাগ পুঁজিবাজারেই প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাই ৮০ শতাংশ লেনদেন করে। কিন্তু বাংলাদেশে হচ্ছে এর উল্টো।
“দেশের পুঁজিবাজারের ৮০ শতাংশ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের দখলে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা লেনদেন করেন মাত্র ২০ শতাংশ। ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের যে মার্কেট মেকারের ভূমিকা পালন করার কথা সেটার অভাব দখা যায়।”
বন্ডের সংখ্যা কম হওয়াকে আরেকটি সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ার যে পরিমাণ থাকে, এরচেয়ে বেশি পরিমাণ থাকে বন্ড।
সালমান এফ রহমান জানান, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও বন্ড বাড়াতে বর্তমান কমিশন কাজ করছে।
আরও পড়ুন: