শনিবার দুপুরে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ- ডিএসই এর নতুন সদস্যদের (ট্রেক) মধ্যে লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকার নিকুঞ্জে ডিএসই ভবনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,“পুঁজিবাজারকে অনেকে ভুল বুঝে অনুৎপাদনশীল খাত হিসেবে বলে থাকেন। আসলে সম্ভবত মানুষ দেশের যে সেকেন্ডারি মার্কেট আছে, যেখানে একটা এক্সিট প্লান আছে- সেটাকে পুঁজিবাজার মনে করেন। আসলে সেকেন্ডারি মার্কেট যেখানে মানুষের হাতে থাকা শেয়ার লেনদেন হয় শুধু, সেটাই কিন্তু পুঁজিবাজার নয়।
“আমাদের প্রাইমারি মার্কেট আছে, বন্ড মার্কেট আছে। প্রাইমারি মার্কেট এর মাধ্যমে উৎপাদনশীল খাতে টাকা দিচ্ছি। বন্ড মার্কেট এর মাধ্যমে উৎপাদনশীল খাতে টাকা দিচ্ছি। পুঁজিবাজারের মাধ্যমে টাকা নিয়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশে এবং দেশের বাইরে ব্যবসা বাড়াচ্ছে। টাকাগুলো তো সব উত্পাদনশীল খাতে যাচ্ছে। তাহলে এখানে অনুৎপাদনশীল কথাটা কেন আসল।”
শনিবার ডিএসই ৫২টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে ব্রোকারেজ ব্যবসা করার লাইসেন্স হস্তান্তর করে। দেশের প্রধান এই স্টক এক্সচেঞ্জে বর্তমানে ২৫০টির মত ব্রোকরেজ হাউস আছে, যেগুলোর মধ্যে ২০০টি সক্রিয়।
ডিমিউচুয়ালাইজেশনের পর নতুন ব্রোকরেজ হাউসের লাইসেন্স দেওয়ার সুযোগ খুলে যায়। যাচাই বাছাইয়ের পর সম্প্রতি ৫২টি নতুন প্রতিষ্ঠানকে এই সুযোগ দেয় ডিএসই।
এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি এর চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন- বিএসইসি এর চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের এই পারিবারে আজকে ৫২ জন নতুন সদস্যের অন্তর্ভুক্তি হচ্ছে। এটা পুঁজিবাজারকে আরও শক্তিশালী করবে।“
তিনি বলেন,“আপনাদের কাছে অনুরোধ, যারা বিশ্বাস করে আপনাদের কাছে তাদের টাকা রেখে যাচ্ছে, তারা অনেক কষ্টের সম্পদ রেখে যাচ্ছে তাদেরকে সম্মান করবেন। তাদের সম্পদ রক্ষা করবেন। তাদের সম্মানের সাথে বছর শেষে কিছু টাকা রিটার্ন দিতে হবে।
“আমি আজকে নতুন ট্রেকদের বলব আপনাদের পুরোনা ২০০ ট্রেকহোল্ডারের সাথে ব্যবসা করতে হবে। আপনাদের অনেক ইনোভেটিভ হতে হবে।মানুষকে যদি বেটার রিটর্ন দিতে পারেন তাহলে মানুষ আপনার কাছে অবশ্যই আসবে।”
পুঁজিবাজারে নতুন পণ্য নিয়ে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।