ব্রোকারেজ হাউজ গুটিয়ে মালিক লাপাত্তা

করোনাভাইরাস মহামারীকালে ঢাকার পুঁজিবাজারের একটি ব্রোকারেজ হাউজ গুটিয়ে এর মালিক লাপাত্তা হয়ে গেছেন।

ফারহান ফেরদৌস নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2020, 03:03 PM
Updated : 25 June 2020, 03:09 PM

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ নামে ওই ব্রোকারেজ হাউস আকস্মিক বন্ধ হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। সঙ্কটকালে তাদের শেয়ার ও টাকা গেছে আটকে।

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের নাম মো. শহিদ উল্লাহ। তার মোবাইল নম্বরে ফোন দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৬ সাল থেকে কাজ করছে তারা। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় তাদের তিনটি অফিস আছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) একজন কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ তাদের হেড অফিসসহ সমস্ত ব্রাঞ্চ অফিস বন্ধ করে দিয়েছে। তাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না।”

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকটি ব্রোকারেজ হাউজের মালিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সম্ভবত দুরবস্থার কারণে এই সমস্যা হয়েছে।

“ব্যাংকের লোনের টাকা ফেরত দিতে পারছে না। বিনিয়োগকারীদের টাকাও আটকে গেছে। সব মিলিয়ে তারা (ক্রেস্ট) এ কাজ করেছে।”

মারুফ হোসেন নামে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের নারায়ণগঞ্জ শাখার একজন বিনিয়োগকারী বলেন, “আমার এবং আমার পরিবারের ৪টি বিও একাউন্ট আছে এই ক্রেস্ট সিকিউরিটিজে‌।

“এই খারাপ সময়ে আমি মহাবিপদে পড়ে গেলাম। টাকাটা দরকার হলে বের করতে পারব না। আমার মতো অনেক বিনিয়োগকারী বিপদে পড়ল।”

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই খবর পেয়ে আমরা তাদের লেনদেন বন্ধ করে দিয়েছি, তদন্ত শুরু করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংককে আমরা জানিয়েছি।”

“বিনিয়োগকারীদের যেন কোনো সমস্যা না হয়, তারা তাদের টাকা কিভাবে পাবেন, সেগুলো আমরা দেখছি,” বলেন তিনি।

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির মুখপাত্র মো. সাইফুর রহমান বলেন, “এ বিষয়টি নিয়ে আমরা তদন্ত শুরু করেছি, আমরা পরে বিষয়টি জানাতে পারব।”

ডিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান জানান, ডিএসইতে ২৪৬ জন ট্রেক হোল্ডার বা ব্রোকার আছেন। যাদের মধ্যে ২৩৮ জন সক্রিয় রয়েছেন, অর্থাৎ লেনদেন করেন।