সোমবার দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) একদিনে পাঁচ গুণের বেশি দর বাড়া এই শেয়ার হল সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স; যা এদিন ব্যাপক আলোচনারও জন্ম দিয়েছে।
নতুন তালিকাভুক্ত শেয়ারটির একদিনে এতটা দর বাড়ার সুযোগ তৈরি হয় এদিন দর বাড়া-কমায় সার্কিট ব্রেকার না থাকার কারণে।
নিয়ম অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদে লভ্যাংশ ঘোষণার সুপারিশের পরের কার্যদিবসে একটি শেয়ার কেনাবেচার দরের ক্ষেত্রে ‘নো প্রাইস’ লিমিট থাকে।
নতুন তালিকাভুক্ত সোনালী লাইফের পর্ষদ সম্প্রতি ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়া ২০২০ অর্থবছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য নগদ ১০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অর্থাৎ প্রতিশেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ১ টাকা করে পাবেন।
একই দিন ২০২১ সালের প্রথম প্রান্তিকের জন্য ২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে। অর্থাৎ প্রতিশেয়ারে বিনিয়োগকারীরা ২০ পয়সা করে পাবেন।
উভয় ঘোষণার রেকর্ড ডেট ৪ অগাস্ট।
লভ্যাংশ ঘোষণার এমন খবরে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারটির দর দিন শেষে ৭০ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ৮৬ টাকা ৫০ পয়সাল লেনদেন শেষ হয়েছে।
গত ৩০ জুন তালিকাভুক্ত হওয়া শেয়ারটির লেনদেন শুরু হয়েছিল ১০ টাকা দরে। এরপর থেকে পরবর্তী ৫ দিনের লেনদেনে দর বেড়ে হয়েছিল ১৬ টাকা।
সাম্প্রতিক সময়ে একদনি এতটা দর বাড়ার ঘটনা নেই দেশের উভয় পুঁজিবাজারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিন শেয়ারটি সর্বনিম্ন ৬০ টাকায় এবং সর্বোচ্চ ৯৩ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়।
সোমবার শেয়ারটি ৮৫ হাজার ১০৭ বার হাত বদল হয়ে টাকার অঙ্কে ৫১ কোটি ৫২ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে।
লেনদেন হওয়া শেয়ারের পরিমাণ ৭০ লাখ ৭৯ হাজার ৮৭৯টি।
এই পরিমাণ শেয়ার কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ১৪ দশমিক ৯০ শতাংশ।
অন্যদিকে আগের ৫ দিনে মাত্র ২৫ হাজার ৩২৪টি শেয়ার লেনদেন হয়।
সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্স প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের এক কোটি ৯০ লাখ শেয়ার ছেড়ে ১৯ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।
বাজার থেকে তোলা টাকা দিয়ে ট্রেজারি বন্ড, ফিক্সড ডিপোজিট ও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের পাশাপাশি আইপিওর খরচ মেটাবে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজারে কোম্পানিটির ৪ কোটি ৭৫ লাখ শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৪৩ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ১৬ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪১ শতাংশ শেয়ার আছে।
২০১৩ সালের ১ অগাস্টে কার্যক্রম শুরু করা কোম্পানির চেয়ারম্যান নূর-ই-হাফসা। তিনি ফারনূর গার্মেন্টসেরও পরিচালক।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য রয়েছে ২৫ টাকা ৪৭ পয়সা। লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ৯৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য রয়েছে ১৫ টাকা ৩৩ পয়সা। লাইফ ফান্ডের পরিমাণ ১৫৩ কোটি ৭১ লাখ টাকা।