পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক বন্ড ছেড়ে বাজার থেকে ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করতে চায়।
Published : 01 Mar 2021, 05:41 PM
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ওয়েবসাইটে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এখন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেলে তারা ওই বন্ড ছাড়তে পারবে।
আইএফআইসি ব্যাংক ডিএসইকে জানিয়েছে, এই বন্ড ছেড়ে তারা তাদের মূলধন ভিত্তি শক্ত করতে চায়। বন্ডগুলো হবে নন কনভার্টেবল এবং সাব অর্ডিনেটেড। অর্থাৎ এই বন্ডকে শেয়ারে রূপান্তর করা যাবে না।
১৯৮৬ সালে আইএফআইসি ব্যাংক পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এ কোম্পানি বর্তমানে‘এ’ ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে।
২০১৭ অর্থবছরে এই ব্যাংক ২৩৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা মুনাফা করেছিল, লভ্যাংশ দিয়েছিল প্রতি ১০০ শেয়ার ১২টি শেয়ার।
২০১৮ অর্থবছরে ১৬৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা মুনাফা করে বিনিয়োগকারীদের তারা প্রতি ১০০ শেয়ার ১০টি শেয়ার লভ্যাংশ দেয়।
আর ২০১৯ অর্থবছরে ২৮২ কোটি ৭৭ লাখ টাকা মুনাফা করে আইএফআইসি ব্যাংক লভ্যাংশ হিসেবে প্রতি ১০০ শেয়ার ১০টি শেয়ার দিয়েছিল।
পুঁজিবাজারে এ কোম্পানির ১৬১ কোটি ৯৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার আছে। এর মধ্যে ৪ শতাংশ ১১ শতাংশ আছে পরিচালকদের হাতে।
সরকারের হাতে আছে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ২৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শেয়ার, বিদেশিদের হাতে দশমিক ৭৭ শতাংশ শেয়ার এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ শেয়ার আছে।
আইএফআইসি ব্যাংকের বর্তমান বাজার মূলধন ২ হাজার ৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬১৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা; রিজার্ভের পরিমাণ ১ হাজার ৩৪ কোটি ৪২ লাখ টাকা।