সরকারি ৭ সংস্থার শেয়ার ছাড়ার তোড়জোড়

রাষ্ট্রায়ত্ত সাতটি সংস্থার শেয়ার পুঁজিবাজারে অচিরেই ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2020, 01:41 PM
Updated : 2 Feb 2020, 01:41 PM

গ্যাস ও বিদ্যুৎ খাতের এই সংস্থাগুলো হচ্ছে- তিতাস গ্যাস কোম্পানি, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ, নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি, বিআর পাওয়ারজেন ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি (জিটিসিএল)।

আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব কোম্পানির সম্পদের মূল্যায়ন করে তার ভিত্তিতেই শেয়ার মূল্য নির্ধারণ করে পুঁজিবাজারে ছাড়া হবে বলে রোববার সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী।

পুঁজিবাজারে মন্দাভাব কাটাতে মৌলভিত্তিসম্পন্ন শেয়ারের অভাবের কথা বলে আসছেন বাজার বিশ্লেষকরা। তা ঘোচাতে রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার ছাড়ার আলোচনা কয়েকবছর ধরে চললেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

মুস্তফা কামাল অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার পর সরকারি বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার ছাড়ার উপর জোর দিয়েছেন।

এর মধ্যেই রোববার সকালে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ও সরকারি কোম্পানিগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্থমন্ত্রী।

বৈঠকের বিষয়বস্তু সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমাদের পুঁজিবাজারে আরও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ দরকার। আমরা মনে করি, অন্যান্য দেশের মতো আমাদের এখানেও বাজারে শেয়ারের জোগান আরও বাড়াতে হবে।”

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরাও চাইছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ার বাজারে আসুক।

মুস্তফা কামাল বলেন, “আমি যখন অর্থ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলাম, তখনও আমি জোর গলায় বলেছিলাম বাজারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য সরকারি কোম্পানির আরও শেয়ার পুঁজিবাজারে আসা উচিৎ।

“আজকে বৈঠকে পুঁজিবাজারকে আরও টেকসই ও স্থিতিশীল করার জন্য সরকারি সাত কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”

প্রাথমিক পর্যায়ে এসব কোম্পানির ১০ থেকে ২৫ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে বলে জানান তিনি। যেসব কোম্পানি এখন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে, সেসব কোম্পানির নতুন করে ১০ শতাংশ শেয়ার বাজারে ছাড়া হবে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আগামী দুই মাসের মধ্যে প্রত্যেকটা কোম্পানির সম্পদের মূল্যায়ন করা হবে। আগামী দুই মাসের মধ্যে এসব কোম্পানির সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

“আমরা এসব কোম্পানির সম্পদের মূল্যায়ন ভালো ভালো ফার্ম দিয়ে করাব। এই কাজ আগামী দুই মাসের মধ্যে করার জন্য সাতটি কোম্পানিকে সাতটি ফার্ম দিয়ে মূল্যায়ন করাব।”