টিআইবির বক্তব্য ভিত্তিহীন, আপত্তিকর: বিএসইসি

বাংলাদেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার নেওয়ার বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2018, 06:05 PM
Updated : 18 Feb 2018, 06:55 AM

শনিবার রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে বিএসইসি বলেছে, ‘ডিএসইর কৌশলগত মালিকানার অংশীদার বাছাইয়ে অবৈধ হস্তক্ষেপে টিআইবির উদ্বেগ: জড়িতদের জবাবদিহি ও সংশ্লিষ্ট দরদাতাকে কালো তালিকাভুক্তির আহ্বান’ শিরোনামে টিআইবির একটি বিবৃতি শনিবার বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেওয়া বক্তব্য ‘ভিত্তিহীন এবং অত্যন্ত আপত্তিকর’।

টিআইবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, “দর প্রস্তাব মূল্যায়নে প্রায় অর্ধেক পিছিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানের পক্ষে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের তদবির ও চাপ প্রয়োগ যেমন নজিরবিহীন ও আইনবিরুদ্ধ, বিএসইসি কর্তৃক তাতে প্রভাবিত হয়ে বাছাই প্রক্রিয়াকে কলুষিত করে অযোগ্য প্রতিষ্ঠান নির্বাচনে ইন্ধন যোগানো তেমনই বেআইনি ও অগ্রহণযোগ্য।”

এ প্রসঙ্গে বিএসইসির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবাদের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই না করে এ ধরনের চূড়ান্ত মন্তব্য টিআইবির গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।

সংস্থাটি বলেছে, ডিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব বিএসইসি এখনও পায়নি। ফলে প্রস্তাবগুলো কি, তার শর্তগুলো কি কি এবং দরপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে বিবেচ্য বিষয় কি- তা না জেনে বিএসইসির পক্ষে প্রস্তাবসমূহের সুবিধা-অসুবিধা বিশ্লেষণ করা এখনও সম্ভব হয়নি।

তবে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এবং ডিএসইর সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিএসইসি জানতে পেরেছে যে, উক্ত কৌশলগত বিনিয়োগকারী নির্বাচনে দুটি কনসোর্টিয়াম আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

ডিএসই এই দুটি কনসোর্টিয়ামকে নিয়ে একাধিকবার বিএসইসির সঙ্গে বাজার এবং সংশ্লিষ্ট আইনের বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

“বিএসইসি এ বিষয়ে অত্যন্ত আনন্দিত যে, ডিএসইর শেয়ার ক্রয়ে আমাদের দুইটি বড় প্রতিবেশী দেশের দুই কনসোর্টিয়ামের আগ্রহ বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উজ্জল ভবিষ্যৎ নির্দেশ করে।”

বিএসইসি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ভবিষ্যৎ নিয়ে এতোদিন যা বলে আসছিল- এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

“টিআইবি শুধুমাত্র সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের উপর ভিত্তি করে বিবৃতি প্রকাশ করেছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই বিবৃতি প্রকাশের আগে টিআইবি, বিএসইসির সাথে কোনোরূপ যোগাযোগ করেনি বা বিএসইসির কোনো বক্তব্য জানার চেষ্টা করেনি।টিআইবির মতো একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কোনোভাবেই বিএসইসি এটা আশা করে না।”

ডিএসই থেকে সব তথ্যসহ সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পাওয়ার পরই বিএসইসির পক্ষ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।

কিন্তু তার আগেই আগেই ‘টিআইবি যেভাবে বিএসইসির অবৈধ হস্তক্ষেপ ও চাপ প্রয়োগের’ অভিযোগ এনেছে তাতে বিএসইসি আশাহত হয়েছে।

বিএসইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টিআইবি কিভাবে জানল যে, বিএসইসি দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগসাজশে বা প্রভাবান্বিত হয়ে অনৈতিক চাপ প্রয়োগ করেছে। এর প্রমাণ টিআইবির কাছে থাকলে তা জনসমক্ষে প্রকাশের অনুরোধ জানানো হয়।

“বিএসইসির সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগ ছাড়া টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠান যে ভিত্তিহীন মন্তব্য করেছে তা অত্যন্ত আপত্তিকর।”