এর আগে সবশেষ ৭ জানুয়ারি চারশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছিল।
Published : 15 Jan 2025, 05:40 PM
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে পাঁচদিন বাদে লেনদেনের পরিমাণ ৪০০ কোটি টাকা ছাড়াল।
বুধবার লেনদেন বাড়লেও বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন হয়।
এদিন লেনদেন শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা পর থেকে এ প্রবণতা শুরু হয়। দিন শেষে আগের চেয়ে ৮ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন থামে ৫ হাজার ১৪২ পয়েন্টে। আগের দিন সূচক ছিল ৫ হাজার ১৫০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া মোট ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৮২টির, কমেছে ১৪৫টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৬৯টির।
বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারালেও ব্যাংক, ওষুধ ও রসায়ন, বিমা, প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের শেয়ারের হাতবদল বাড়ায় সার্বিক লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন এসব খাতের শেয়ারের হাতবদল তুলনামূলক কম হওয়ায় সূচক পড়েছিল ১ পয়েন্ট। দরপতনের এ প্রবণতা আগের চারদিনই দেখা গেছে।
বুধবার দিন শেষে ডিএসইতে ৪০৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকার শেয়ারের হাতবদল হয়, যা আগের দিন ছিল ৩৫১ কোটি ১১ লাখ টাকা।
এর আগে সবশেষ চারশ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয় গত ৭ জানুয়ারি। তার আগে এমন দিন দেখা গিয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর।
গত ৫ অগাস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে পুঁজিবাজারের লেনদেন বাড়তে থাকে। বেশ কয়েকদিন দুই হাজার কোটি টাকার লেনদেন হয়।
এর এক মাস বাদে সেই প্রবণতার ছন্দপতন ঘটে, লেনদেন নেমে আসে তিনশ কোটি টাকার ঘরে। কয়েকদিন আড়াইশ কোটি টাকার মতোও লেনদেন হয়। মাঝে মাঝে এই পরিমাণ চারশ কোটি টাকার ঘরে উঠলেও তা টেকসই হয়নি।
ডিএসইর লেনদেন তথ্য অনুযায়ী, ব্লক মার্কেটে ২৪টি কোম্পানির ১৭ কোটি টাকার লেনদেন হয়। গত কয়েকদিনের মত বুধবারও এ বাজারে লেনদেন হয় এক্সপ্রেস ইন্স্যুরেন্স, ফাইন ফুডস, মিডল্যান্ড ব্যাংক, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স মিউচুয়াল ফান্ড ও রেনাটার শেয়ার।
খাতওয়ারি হিসাবে, এদিন সর্বোচ্চ ৬৮ কোটি ৭০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতে। এর পরের অবস্থানে আছে বস্ত্র খাত, লেনদেন হয় ৪৬ কোটি ৭১ লাখ টাকার। ৪৬ কোটি ৬৮ লাখ টাকার নেদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে ওঠে প্রকৌশল খাত। এরপরের অবস্থান ব্যাংক খাতের, লেনদেনের পরিমাণ ৩৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
এদিন সবচেয়ে বেশি দর বাড়ে ফুয়াং সিরামিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ফুয়াং ফুড ও শাইনপুকুর সিরামিকসের।