আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিন দিনে সূচকে যোগ হল ৬৯৫ পয়েন্ট।
Published : 09 Aug 2024, 01:00 AM
নতুন সরকারের শপথের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাধারণ সূচক ৩০৬ পয়েন্ট বেড়েছে।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার শেয়ারের লেনদেনও হাজার কোটি টাকার ঘর পার করেছে।
ডিএসই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স প্রবর্তন হওয়ার পর থেকে একদিনে সূচকের এত উল্লম্ফন এর আগে দেখা যায়নি।
২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি ডিএসইএক্স চালু হওয়ার পর ৩ জুন ২৭৩ পয়েন্ট সূচক বৃদ্ধির রেকর্ড ছিল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিন কর্মদিবসেই সূচক বাড়ল ৬৯৫ পয়েন্ট।
সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু করে ডিএসইতে প্রথম ৯ মিনিটে ১০৩ পয়েন্ট যোগ হয়। এর পরের ২০ মিনিট দর সংশোধন করে ফের সূচক বাড়তে শুরু করে। এর পর থেকে টানা উত্থান চলতে থাকে। এ সময় বাড়তে থাকে লেনদেনের পরিমাণও।
বেলা আড়াইটায় লেনদেন শেষ করে ৫ হাজার ৯২৪ দশমিক ৮১ পয়েন্টে। এক দিনে সূচক বেড়েছে আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয় এক হাজার ৬০৬ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, এটি গত ১৩ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ। সেদিন লেনদেন ছিল এক হাজার ৬৪৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা।
লেনদেন বৃদ্ধি ও বেশিরভাগ শেয়ারের দর বাড়ায় বিনিয়োগকারীরা পুরনো লোকসান কাটিয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে। গত তিন দিনে বাজার মূলধন ফিরে আসল ৫৮ হাজার ৪৬৮ কোটি টাকা।
ডিএসইর প্রধান সূচকের সঙ্গে অন্য দুই সূচকও এগিয়ে যায়। আগের দিনের চেয়ে শরিয়া সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫৫ পয়েন্ট আর ডিএস৩০ সূচক বেড়েছে ১১০ পয়েন্ট।
এদিন শেয়ার দর বেড়েছে ৩৬৪টি কোম্পানির, কমেছে ২৭টির ও আগের দরে লেনদেন শেষ করে ৭টি।
লেনদেন শেষে একক খাত হিসেবে ডিএসইতে শীর্ষে উঠে এসেছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। দিন শেষে মোট লেনদেনের প্রায় ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ অবদান রাখে এ খাতে তালিকাভুক্ত ৩৩টি কোম্পানি। এরপরই ব্যাংক খাতে লেনদেন হয় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা বা সার্কিট ব্রেকার ১০ শতাংশ বা কাছাকাছি দর বেড়েছে শতাধিক কোম্পানির।
অন্যদিকে একক কোম্পানি হিসেবে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ বা কাছাকাছি দর হারানো কোম্পানির সংখ্যা ছিল ১০টির মত।