তবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবোতে বেক্সিমকো লিমিটেডের ইয়ার্ন ইউনিট-১ যথারীতি চালু থাকবে।
Published : 05 Feb 2025, 01:43 PM
বেক্সিমকো লিমিটেডের গাজীপুর ইউনিটেডের চারটি কারখানায় ‘লে-অফ’ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে এসব কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছে গাজিপুরের বেক্সিমকো ইন্ডস্ট্রিয়াল পার্কে বেক্সিমকো লিমিটেডের ইয়ার্ন ইউনিট-২, টেক্সটাইল, ডেনিম ও নিটিং ডিভিশনে।
তবে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের তারাবোতে বেক্সিমকো লিমিটেডের ইয়ার্ন ইউনিট-১ যথারীতি চালু থাকবে।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে বেক্সিমকো গ্রুপের কোম্পানিগুলোতে অস্থিরতা চলছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান। তিনি বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।
শ্রমিক অসন্তোষের মধ্যে এর আগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১২ কারখানায় লে-অফ ঘোষণা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১টি বস্ত্র ও পোশাক খাতের কারখানাও রয়েছে। এরপর কারখানা এখনো খোলা হয়নি।
গত ২৮ জানুয়ারি সচিবালয়ে উপদেষ্টা কমিটির এক বৈঠকে লে-অফ থাকা বেক্সিমকোর ১২টি কারখানা একেবারে বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
তবে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, শাইনপুকুর সিরামিকস ও বেক্সিমকো লিমিটেডের কোনো কারখানা এতদিন লে-অফ করা হয়নি।
প্রয়োজনীয় কাঁচালাম না থাকা, ব্যাংকের ঋণ বন্ধ হওয়া ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ হওয়ায় এলসি সুবিধা না পাওয়ায় সক্ষমতার পুরোটা কাজে লাগাতে পারছে না বেক্সিমকো লিমিটেড।
উপদেষ্টা কমিটি বলেছে, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৩২টি কারখানার নাম থাকলেও বাস্তবে ১৬টির অস্তিত্ব মেলেনি। অথচ এসব কারখানার নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। আর সব মিলিয়ে ৩২ কোম্পানির নামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে।
পুরো উৎপাদনে না থাকায় সবশেষ ছয় মাসে ফের লোকসান দিয়েছে বেক্সিমকো লিমিটেড। গত জুলাই-ডিসেম্বরে মোট ৩৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকার লোকসান গুনেছে এ কোম্পানি।
লোকসানের বিষয়ে বেক্সিমকো বলেছে, গতবছর অগাস্টের পর থেকে কোনো ব্যাংক বেক্সিমকো লিমিটেডের নামে এলসি (ঋণপত্র) খোলেনি। জুলাই-ডিসেম্বরের বেশিরভাগ সময়ে কারখানার উৎপাদন বন্ধ ছিল।
“কোনো ব্যাংকের সহয়াতা না পেয়ে উৎপাদনে থাকতে পারেনি বেক্সিমকো। এমনকি কোম্পানির কাছে মজুদ থাকা কাঁচামাল ইয়ার্ন ও ফেব্রিকস ব্যবহার করতে না পারায় কেনা দামের চেয়ে কমে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।”
সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বেক্সিমকোর ঋণ রয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা, এসব এখন খেলাপি হতে শুরু করেছে।