ফরোয়ার্ড শামসুন্নাহারের অভাব পূরণ করতে পারলেন না আকলিমা খাতুন, আইরিন খাতুনরা। উল্টো শেষ দিকে গোল হজম করল বাংলাদেশ। ইরানের বিপক্ষে হেরে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রথম ধাপ থেকে ছিটকে গেল গোলাম রব্বানী ছোটনের দল।
কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে রোববার ১-০ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ। একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে থামল লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের সেরা দল হয়ে দ্বিতীয় ধাপে উঠল ইরান। তুর্কমেনিস্তানকে ৭-১ গোলে উড়িয়ে আসর শুরু করেছিল তারা।
শামসুন্নাহারের অনুপস্থিতিতে ভুগল আক্রমণভাগ
হাঁটুর চোটে তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে ছিলেন দর্শক। তবে আকলিমা-স্বপ্নাদের নৈপুণ্যে সেদিন ৪-০ গোলে জিতেছিল দল। তাতে আশাও বেঁচে ছিল বাংলাদেশের। ইরান ম্যাচেও অধিনায়ক শামসুন্নাহার জুনিয়র খেলতে পারেননি চোটের থাবায়। কিন্তু এবার তার অভাব পূরণ করতে পারল না কেউ।
বিরতির আগে সমানে সমান
শুরু থেকে গতিময় ফুটবলের পসরা মেলল ইরান। পাল্টা জবাব দিতে মরিয়া চেষ্টা চালাল বাংলাদেশ। তাতে প্রথমার্ধে গোল না মিললেও ম্যাচের পরতে পরতে ছিল উত্তেজনার ছাপ।
অষ্টম মিনিটে গোলমুখে বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন আকলিমা খাতুন। এরপর শুরু হয় ইরানের আক্রমণ। দশম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে নাস্তারান মোহাম্মাদখানির নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
তিন মিনিট পর ইরানের এই ফরোয়ার্ডের ফ্রি-কিকও হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট। সপ্তদশ মিনিটে আবার আক্রমণ শাণায় তারা। হাসতির পাস থেকে নেগিন জানদি বাংলাদেশ গোলরক্ষক রুপনা চাকমাকে একা পেয়েও বল ঠেলতে পারেননি জালে।
২০তম মিনিটে আবারও সুযোগ আসে বাংলাদেশের সামনে। স্বপ্না রানীর পাসে আকলিমা পা ছোঁয়াতে পারলেই গোল মিলত। এরপর ফিরতি শট নেন স্বপ্নাও, কিন্তু বল যায় পোস্ট ঘেঁষে বাইরে। ৩২তম মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে স্বপ্নার পাসে পা ছোঁয়াতে আবারও ব্যর্থ আকলিমা। বল পেয়ে যান আইরিন খাতুন, কিন্তু তার শটে বল যায় বাইরে।
শেষ দিকে গোল খেল বাংলাদেশ
দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলের খেলায় গোলের জন্য মরিয়া চেষ্টার ছাপ ছিল না মোটেও। আকলিমা-আইরিনরা দূরপাল্লার শটে ইরানের গোলরক্ষকের যা একটু পরীক্ষা নিচ্ছিলেন, কিন্তু তাকে পরাস্ত করার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না।
৮৫তম মিনিটে গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। গোল কিকের পর মাঝমাঠে সতীর্থের হেডে বল পেয়ে যান নেগিন। পোস্ট ছেড়ে বক্সের বাইরে চলে আসেন রূপনা, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন নেগিন। বাকিটা সময় নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিয়ে শেষের বাঁশি বাজতেই আনন্দে মাতে ইরানের মেয়েরা।