দুই দফায় এগিয়ে গিয়েও জিততে না পারাটাই বেশি কষ্ট দিচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডারকে।
Published : 10 Apr 2024, 05:36 PM
রেয়াল মাদ্রিদের আস্তানা থেকে অসাধারণ এক জয় নিয়ে ফেরার দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত না পারায় হতাশ ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার ফিল ফোডেন। বিশেষ করে, দুই দফায় এগিয়ে গিয়েও সেটা সম্ভব করতে না পারাটাই বেশি পীড়া দিচ্ছে তাকে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের ওঠার লড়াইয়ে মঙ্গলবার রাতে নাটকীয়তায় ঠাসা এক ম্যাচ উপহার দেয় রেয়াল ও সিটি। সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে রোমাঞ্চের নানা ধাপ পেরিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালের প্রথম লেগের ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়।
বের্নার্দো সিলভার দারুণ ফ্রি কিকে এগিয়ে যাওয়ার খানিক পরই দুর্ভাগ্যবশত গোল খেয়ে বসে সিটি, কামাভিঙ্গার শট রুবেন দিয়াসের গালে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। দুই মিনিটের মধ্যে রদ্রিগোর নৈপুণ্যে এগিয়েও যায় রেয়াল।
দ্বিতীয়ার্ধে চমৎকার এক গোলে দলকে সমতায় ফেরান দারুণ ছন্দে থাকা ফোডেন। একটু পর ইয়োশকো ভার্দিওলের দারুণ গোলে ফের এগিয়ে যায় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। তবে এবারও ব্যবধান ধরে রাখতে প্রয়োজনীয় কাজটুকু করতে পারেনি তারা অসাধারণ এক গোলে সমতা টানেন ফেদেরিকো ভালভের্দে।
ম্যাচের পর তাই অকপটে আত্মসমালোচনা করলেন ফোডেন। হতাশা না লুকিয়ে, যেন বলতে চাইলেন নিজেদের ভুলেই জয়ের সুযোগ হারিয়েছেন তারা।
“আমরা কিছুটা হতাশ, বিশেষ করে ৩-২ ব্যবধানে এগিয়ে যাওয়ার পর আমরা ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম। কিন্তু, গোল কিকের পর আমরা বল পেলামই না এবং তারা চমৎকার একটি গোল করল। ফিরতি লেগে আমরা অনেক কিছুর উন্নতি করতে পারি।”
৬৬তম মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে তিনি নিজে যে গোলটি করেন, সেটা নিয়েও খুশিমনে মন্তব্য করেন ফোডেন। ডান দিক থেকে সিলভার পাস বক্সের বাইরে ডান পায়ে ধরেই বাঁ পায়ে জোরাল শট নেন ২৩ বছর বয়সী ইংলিশ মিডফিল্ডার। ঝাঁপিয়েও বলের নাগাল পাননি লুনিন।
“(শট নেওয়ার মুহূর্তে) বলের সঙ্গে মিষ্টি একটা সংযোগ অনুভব করেছিলাম। সাধারণত, আমি অনুশীলনেও বক্সের বাইরে থেকে শট নেওয়ার চেষ্টা করি, কখনও বল ভিতরে ঢোকে, কখনও না।”
আগামী বুধবার ইতিহাদ স্টেডিয়ামে হবে ফিরতি লেগ। এই মাঠ্ গতবার সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে রেকর্ড ১৪ বারের ইউরোপ চ্যাম্পিয়নদের ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল সিটি। পরে প্রথমবারের মতো তারা মাথায় তোলে ইউরোপ সেরার মুকুট।