গত বিশ্বকাপের ফাইনালে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপে নিজেদের মেলে ধরেছিলেন সেরা ছন্দে। রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ফ্রান্স শেষ পর্যন্ত হেরে গেলেও ফরাসি তারকার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। সেদিনের প্রতিপক্ষের সঙ্গেই এখন পিএসজির হয়ে মাঠ মাতাচ্ছেন তিনি। এমবাপের সঙ্গে মিলে ক্লাবটির হয়ে দারুণ সব সাফল্যের স্বপ্ন দেখছেন এবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার।
২০১৮ সালে ১৯ বছর বয়সেই বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন এমবাপে। কাতারেও বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মুকুট ধরে রাখার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায় তারা। কিন্তু ফাইনালে তাদেরকে কাঁদিয়ে শেষ হাসি হাসে মেসির আর্জেন্টিনা।
তবে সেদিন হারার আগে হার মেনে নেননি এমবাপে। প্রথমার্ধেই দুই গোল হজমের পর ৮০ মিনিট পর্যন্ত ওই ব্যবধানেই পিছিয়ে ছিল ফ্রান্স। অনায়াস জয়ের সম্ভাবনা উঁকি দিচ্ছিল আর্জেন্টিনা শিবিরে। তখনই দৃশ্যপটে এমবাপের জাদুকরী পারফরম্যান্স; পরপর দুই গোলে ম্যাচ নিলেন অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে মেসির দ্বিতীয় গোলে ফের এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা এবং অতিরিক্ত সময় শেষের মিনিট দুই আগে হ্যাটট্রিক পূরণের পাশাপাশি ম্যাচ টাইব্রেকারে নেন পিএসজি তারকা।
পেনাল্টি শুটআউটেও জালের দেখা পান এমবাপে, কিন্তু তার দল হেরে যায় ৪-২ ব্যবধানে।
ওই ফাইনালে দুই গোলসহ আসরে সাত গোল করে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন মেসি।
পিএসজি টিভিকে সোমবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন মেসি। সেখানে ওঠে ফাইনালের প্রসঙ্গও। ফাইনালে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পাশাপাশি পুরো আসরেই চমৎকার খেলা ক্লাব সতীর্থের প্রতি প্রশংসা ঝরে পড়ল রেকর্ড সাতবারের ব্যালন দ'র জয়ী তারকার কন্ঠে।
“সত্যিই শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনাল ছিল। ম্যাচটা যেভাবে এগিয়ে গিয়েছিল, অসাধারণ। কিলিয়ানের (এমবাপে) পারফরম্যান্স ছিল চমৎকার। ফাইনালে তিন গোল করার পরও চ্যাম্পিয়ন হতে না পারাটা অবিশ্বাস্য।”
“তবে সে আগেই বিশ্বকাপ জিতেছে, সে জানে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অনুভূতিটা কেমন। ফুটবল বিশ্বের জন্য চমৎকার একটি ফাইনাল ছিল। (এমবাপের সঙ্গে) এখন একই দলের হয়ে খেলতে পেরে ভালো লাগছে এবং আশা করি, প্যারিসে আমরা দুর্দান্ত কিছু করতে পারব।”