এই ডাচ মিডফিল্ডারের মতে, ম্যাচের রেফারিং ছিল কলঙ্কজনক।
Published : 11 Dec 2022, 08:03 PM
আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের কোয়ার্টার-ফাইনাল শেষের পর দুই দিন পার হতে চলেছে, কিন্তু ম্যাচটিতে স্প্যানিশ রেফারি আন্তোনিও মাতেও লাওফের অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও চলছে আলোচনা-সমালোচনা। রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং। তার দাবি, আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসির মতো মহাতারকার কারণে প্রভাবিত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রেফারি।
লুসাইল স্টেডিয়ামে গত শুক্রবারের ওই লড়াইয়ে শেষ দিকে দুই গোল শোধ করে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নেয় নেদারল্যান্ডস। এরপর টাইব্রেকারে তারা হেরে যায় ৪-৩ গোলে।
ম্যাচ চলাকালে এবং শেষে মিলিয়ে বিশ্বকাপের কোনো ম্যাচে খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফের সদস্য মিলিয়ে রেকর্ড ১৭ জনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি লাওফ (আর্জেন্টিনার ৮ জন খেলোয়াড় আর নেদারল্যান্ডসের ৬ জন খেলোয়াড় দেখেন হলুদ কার্ড)। পুরো ম্যাচে তার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই দলই অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে।
ম্যাচের পর রেফারির কড়া সমালোচনা করেন মেসিও। এই ম্যাচে দায়িত্ব পালনের জন্য লাওফ যথার্থ ব্যক্তি ছিলেন না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মেসির সঙ্গে একমত ডি ইয়ংও। তবে রেফারির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থের প্রভাব ছিল বলে মনে করেন তিনি।
“নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে সব আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় তার (রেফারি) দিকে তেড়ে গিয়েছিল। এরপর থেকে তিনি শুধু আর্জেন্টিনার পক্ষেই বাঁশি বাজান।”
“ইউরিয়েন টিম্বারের পায়ে লাথি মারা হয়েছে, কিন্তু রেফারি ফাউল দিয়েছে আমাদের বিপক্ষে। লুক ডি ইয়ং স্বাভাবিকভাবেই হেড নিয়েছে, কিন্তু সে বাঁশি বাজিয়েছে। আর্জেন্টিনার ফুটবলার আমাদের ডাগআউটের দিকে বল মেরেছে, তিনি পাত্তাই দেননি। মেসি তার হাত দিয়ে বল ধরেছে, তিনি কিছুই বলেননি। রেফারিং সত্যিই কলঙ্কজনক ছিল।”
পরে লাওফের প্রশংসাও করেন ডি ইয়ং। অতিরিক্ত সময়ে রেফারির মনোভাব বদলে গিয়েছিল বলে মনে করেন তিনি।
“লাওফ ভালো মানুষ, ভালো রেফারি। কিন্তু এখানে অন্য কারণ ছিল। আমার মনে হয়, অতিরিক্ত সময়ে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেছিলেন। হতে পারে লিওনেল মেসির গ্রেটনেসে তিনি প্রভাবিত হয়েছিলেন। এটা আসলে রেফারির দোষ না, কিন্তু খেলায় এর প্রভাব পড়েছিল।”