প্রথম ম্যাচে স্পেনের গোলবন্যায় ভেসে যাওয়ার পর কোস্টা রিকার নকআউট পর্বের আশাও ফিকে হয়ে যায়। তবে জাপানকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। নতুন আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হয়ে এবার চারবারের বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানিকে হারিয়ে কাতার বিশ্বকাপে পরের ধাপে ওঠার স্বপ্ন দেখছে কনকাকাফের দলটি।
সবশেষ ২০১৪ সালে বিশ্বকাপ জয়ী জার্মানিকে একরকম হুমকির সুরে কোস্টা রিকার কোচ লুইস ফের্নান্দো সুয়ারেস বললেন, বড় দলকে বিদায় করে দেওয়াই তাদের বৈশিষ্ট্য।
কোস্টা রিকা আসর শুরু করেছিল ৭-০ গোলের হার দিয়ে। পরের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে তারা ১-০ গোলে হারিয়ে দেয় জাপানকে। এতে তাদের শেষ ষোলোয় খেলার সম্ভাবনা টিকে থাকে।
জাপান ও কোস্টা রিকার পয়েন্ট সমান ৩। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে ‘ই’ গ্রুপের তিন নম্বরে আছে কোস্টা রিকা। তলানিতে জার্মানির পয়েন্ট ১। ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে স্পেন।
জার্মানরা এই ম্যাচে জিততে ব্যর্থ হলে বিদায় নেবে। অবশ্য জিতলেও তাদের শেষ ষোলোয় ওঠা নিশ্চিত নয়। তবে কোস্টা রিকা জিতলেই শেষ ষোলোর টিকেট পাবে। ড্র করলে সম্ভবনা টিকে থাকবে স্পেন-জাপান ম্যাচের ফলাফল পক্ষে আসার ভিত্তিতে।
আট বছর আগে ব্রাজিল আসরের সুখস্মৃতি কোস্টা রিকাকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস যোগাতে পারে।
সেবার খুব কঠিন গ্রুপে পড়েছিল কোস্টা রিকা। তিন সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে, ইতালি ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এ পড়েছিল তারা। শুরু থেকেই চমকের পর চমক দেখায় দলটি। প্রথম ম্যাচে উরুগুয়েকে ৩-১ গোলে হারানোর পর ইতালিকেও হারিয়ে দেয় ১-০ গোলে। গ্রুপে শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোলশুন্য ড্র করে হয় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন।
দলটির স্বপ্নময় পথচলা আরও এক ধাপ এগিয়ে যায় শেষ ষোলোয় গ্রিসকে টাইব্রেকারে হারিয়ে। পরে কোয়ার্টার-ফাইনালে টাইব্রেকারেই তাদের বিদায় করে দেয় নেদারল্যান্ডস।
জার্মানি ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে ২০১৪ বিশ্বকাপে কোস্টা রিকার সাফল্য প্রসঙ্গ উঠতেই কোচ ফের্নান্দো সুয়ারেস বললেন, বৈশ্বিক আসরে সবসময়ই বড় দলগুলোর বিপক্ষে ভালো খেলে তারা।
“আট বছর কেটে গেছে এবং স্কোয়াডও বদলে গেছে। কিন্তু আমাদের স্মৃতিটা মধুর।”
“সম্ভবত এটি কোস্টা রিকানদের জিনগত বৈশিষ্ট্য। বিশ্বকাপে পৌঁছালেই তারা ভিন্নভাবে কাজ করা শুরু করে এবং ভালো খেলে। আমি শুধু ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপের কথাই বলছি না। আমার মনে হয়, ১৯৯০ ইতালি আসরেও তাদের ওপর কারো বিশ্বাস ছিল না, তবে তারা শেষ ষোলোয় খেলেছিল।”