মেয়েদের ‘দুর্দান্ত’ পারফরম্যান্সে মুগ্ধ বাংলাদেশ কোচ

বাছাইয়ের প্রথম ধাপে গ্রুপ সেরা হওয়ার পথে বাংলাদেশ হজম করেনি একটি গোলও।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 April 2023, 03:41 PM
Updated : 30 April 2023, 03:41 PM

শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে নেচে উঠল মেয়েরা। ডাগআউটে কোচ, কর্মকর্তারাও ফেটে পড়লেন এএফসি অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রথম ধাপের লক্ষ্য পূরণের বাধনহারা আনন্দে। ম্যাচ শেষের প্রতিক্রিয়ায় কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের কণ্ঠেও ঝরল দুর্দান্ত ফুটবল খেলার তৃপ্তি।

সিঙ্গাপুরের জালান বেসার স্টেডিয়ামে রোববার ‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদেরকে ৩-০ গোলে হারায় বাংলাদেশ। দুটি স্পট কিক থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সুরভি আকন্দ প্রীতি। অন্য গোলটি সুলতানা আক্তারের।

টানা দুই জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা হয়ে বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে উঠল বাংলাদেশ। তুর্কমেনিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে বাছাই শুরু করেছিল মেয়েরা। সিঙ্গাপুরও শুভসূচনা করেছিল তুর্কমেনিস্তানকে ৭-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে। ফলে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি দুই দলের জন্য হয়ে ওঠে ‘অলিখিত ফাইনাল’। সেখানে সিঙ্গাপুরকে পাত্তাই দেননি পূজা-প্রীতিরা।

বাছাইয়ের প্রথম রাউন্ডে খেলা দুই ম্যাচে ৯ গোল দেওয়া বাংলাদেশ হজম করেনি একটিও। স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের বিপক্ষেও ম্যাচ জুড়ে আধিপত্য করেছে মেয়েরা। দলের দাপুটে ফুটবল দেশে শুরুর সংশয় কেটে যাওয়ার আনন্দও অনুভব করছেন ছোটন।

“প্রথমেই আমি আমার সকল খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাই। তারা বিগত দিনে কঠোর পরিশ্রম করেছে, এবং ঢাকা থেকে আসার আগে আমরা লক্ষের কথা বলে এসেছিলাম-আমাদের লক্ষ্য বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে যাওয়া এবং সেটা মেয়েরা সফলভাবে করতে পেরেছে, এজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ।”

“যেহেতু সব গ্রুপ চ্যাম্পিয়নরা বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে খেলবে, সেহেতু পরের ধাপ কঠিন। কিন্তু ভালো দিক হচ্ছে, ২০১৭ সালেও আমরা থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলেছি। ২০১৯ সালেও ঢাকার পর্বে কোয়ালিফাই করে এবং এরপর মিয়ানমারে খেলে তারপর থাইল্যান্ডে মূল পর্বে খেলেছিলাম। আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা আছে। এই মেয়েরা একেবারেই নতুন, তাই শুরুতে তাদের নিয়ে আমাদের সংশয় ছিল-এরা কী করবে? কিন্তু আজ স্বাগতিক সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে যে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছে, তাতে আমরা আশাবাদী।”

মূল পর্বের খেলা আগামী বছর এপ্রিলে ইন্দোনেশিয়াতে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বাছাইয়ের দ্বিতীয় ধাপে খেলা শুরু হতে দেরি আছে মাস চারেক। ছোটনের বিশ্বাস, এ সময়ের মধ্যে দলকে গুছিয়ে নিতে পারবেন তিনি।

“মেয়েরা তাদের আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে। পরের ধাপের আগে আমরা চার মাস সময় পাব। আশা করি, এই সময়ের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় ধাপের চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারব।”