চলতি মৌসুমে অসাধারণ পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতায় এবার দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে দলকে জিতিয়েছেন ফিল ফোডেন।
Published : 06 Feb 2024, 01:30 PM
ফিল ফোডেনের বয়স স্রেফ ২৩। তবে এখনই তার ট্রফি ক্যাবিনেট যতটা সমৃদ্ধ, অনেক ক্লাবের জন্যই তা হতে পারে ঈর্ষনীয়। পাঁচটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, চারটি লিগ কাপ, দুটি করে এফএ কাপ ও কমিউনিটি শিল্ড, একটি করে ক্লাব বিশ্বকাপ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতা হয়ে গেছে তার। ক্যারিয়ারের সেরা সময় তো এখনও পড়েই আছে! ম্যানচেস্টার সিটির এই মিডফিল্ডার কোথায় থামবেন, জানা নেই যেন তার কোচ পেপ গুয়ার্দিওলারও।
যে ট্রফিগুলো ফোডেন জিতেছেন, সবগুলিতেই অবশ্য তার বড় অবদান ছিল না। তারকা সমৃদ্ধ দলে সুযোগ পেতেও অনেক লড়াই করতে হয়েছে তাকে। তবে এই মৌসুমে কেভিন ডে ব্রুইনে চোটের কারণে লম্বা সময় বাইরে থাকায় মাঝমাঠের কেন্দ্রে নিয়মিত খেলার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। তা কাজেও লাগিয়েছেন দারুণভাবে। হয়ে উঠেছেন দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সেটিই আরও একবার দেখিয়েছেন সোমবার ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে।
পিছিয়ে পড়েও ফোডেনের দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে ম্যাচটি ৩-১ গোলে জিতে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
ডে ব্রুইনে ফেরার পরও মাঠের কেন্দ্রে খেলার সুযোগ তিনি পেয়েছেন। তাতে আরও বেশি প্রভাব রাখার সুযোগ তিনি পাচ্ছেন এবং পরিপূর্ণ এক মিডফিল্ডার যে হয়ে উঠছেন, তা দেখিয়ে চলেছেন তিনি।
ম্যাচের পর গুয়ার্দিওলার কণ্ঠে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা ফোডেনের।
“আজকে আমাদের এটা খুবই প্রয়োজন ছিল (ফোডেনের পারফরম্যান্স)। আমার মনে হয়, ফিল তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে প্রভাববিস্তারি পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে এই মৌসুমেই। গোল করছে, গোল বানিয়ে দিচ্ছে…সবই করছে। নিজের স্বাভাবিক কাজটুকু করেই দারুণ আগ্রাসী সে। প্রতিপক্ষের সীমানায় গেলেই সে বিপজ্জনক হয়ে উঠছে এবং গোলের স্বাদ পাচ্ছে। সবসময়ই জায়গামতো থাকে সে।”
“সে অসাধারণ ও ব্যতিক্রমী এক ফুটবলার। এখনও অনেক তরুণ সে, তার পরও সিটির হয়ে আড়াইশ ম্যাচ খেলে ফেলেছে। এটিই বলে দেয়, এখানে আসার পর থেকে কতটা প্রভাব সে রাখতে পেরেছে।”
সিটির একাডেমি থেকে উঠে এসে মাত্র ১৬ বছর বয়সে মূল দলে জায়গা করে নেন ফোডেন। আকাশী জার্সিতে তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক এটি। আগেরটি ছিল ২০২২ সালের অক্টোবরে।
এই বয়সেই যত অর্জনে নাম লেখা হয়ে গেছে ফোডেনের, বিস্ময়ও জাগতে শুরু করেছে যে কোথায় থামবেন তিনি। গুয়ার্দিওলার বিশ্বাস, খেলার আনন্দকে সঙ্গী করে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবেন এই মিডফিল্ডার।
“তার সীমা জানা নেই আমার। নিজেই নিজের সীমানা ঠিক করবে। ফুটবল তার কাছে জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। অবশ্যই পরিবার ও বাচ্চারা তো আছেই, তাদেরকে ছাড়া ফুটবলই তার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
“তার ওপরই নির্ভর করছে (কত দূর সে যাবে)… তবে খেলাটা দারুণ উপভোগ করে সে। ফুটবল খেলতে স্রেফ ভালোবাসে সে। পথে যেতে যেতে বাচ্চাদের যেরকম আনন্দ নিয়ে খেলতে দেখা যায়, তার খেলার মধ্যেও সেরকম অ্যামেচার একটি ব্যাপার আছে।”