স্বস্তির জয়ে সিটির সঙ্গে ব্যবধান বাড়াল আর্সেনাল

দ্বিতীয়ার্ধের একমাত্র গোলে জিতেছে মিকেল আর্তেতার দল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই মিলল গোল। কিন্তু মাত্র এক গোলে এগিয়ে থাকায় শঙ্কার দোলাচলে ঠিকই দুলতে থাকল আর্সেনাল। কয়েকবার রক্ষণে হানা দিয়ে সফল হলো না লেস্টার সিটি। তাতে স্বস্তির জয়ে ম্যানচেস্টার সিটির সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিল মিকেল আর্তেতার দল।

কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে শনিবার লেস্টারের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে আর্সেনাল। ব্যবধান গড়ে দেওয়া গোলটি করেছেন গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি।

২৪ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্সেনাল। সমান ম্যাচে ৫২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে সিটি। অবশ্য এই ৫ পয়েন্টের ব্যবধান কমিয়ে নেওয়ার সুযোগ পেপ গুয়ার্দিওলার দল পাচ্ছে শনিবার রাতেই এফসি বোর্নমাউথের বিপক্ষে ম্যাচে।

ঘড়ির কাঁটায় ভর করে কেবল সময়ই গড়াচ্ছিল, কিন্তু শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ মুঠোয় রাখা আর্সেনালের আক্রমণে দেখা মিলছিল না চেনা ধার। বুকায়ো সাকা লেস্টারের রক্ষণে কয়েকবার হানা দিলেন বটে, কিন্তু কখনও লক্ষ্যভ্রষ্ট শটে, কখনও তালগোল পাকিয়ে নষ্ট করলেন সুযোগ।

২৬তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মাতে আর্সেনাল। কর্নার গোলরক্ষক লাফিয়ে এক হাতের পাঞ্চে ক্লিয়ার করলেও বক্সে বল পেয়ে যান জাকা। তার পাস ধরে ঠাণ্ডা মাথায় জায়গা করে নিয়ে ডান পায়ের শটে জাল খুজে নেন লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড।

কিন্তু আর্সেনালের এই আনন্দ উবে যায় পরমুহূর্তেই। ভিএআর দেখে রেফারি নিশ্চিত হন বল পাঞ্চ করার সময় লেস্টার গোলরক্ষক ড্যানি ওয়ার্ডকে ফাউল করেছিলেন বেন হোয়াইট। বাতিল হয় গোল।

একটু পর আর্সেনালের মতো লেস্টারেরও পোস্টে রাখা প্রথম প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়। ইহেনাচো বল জালে জড়ালেও অফসাইডের কারণে হয়নি গোল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাঙিক্ষত গোলের দেখা পেয়ে যায় আর্সেনাল। ট্রোসার্ডের রক্ষণ চেরা পাস ধরে এক ছুটে বক্সে ঢুকে ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে যাওয়ার আগেই শট নেন মার্তিনেল্লি। দূরের পোস্ট দিয়ে জালে জড়ায় বল।

৫১তম মিনিটে সতীর্থের ক্রসে দূরের পোস্টে থাকা ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মাতেউস তেতে স্লাইড করলেও বলের নাগাল পাননি।

চার মিনিট পর মার্টিন ওডেগার্ডের থ্রু পাস মার্তিনেল্লির পা হয়ে পাওয়ার পর টোকায় জালে বল জড়িয়েছিলেন সাকা। কিন্তু মার্তিনেল্লি অফসাইডে থাকার কারণে দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান।

৭২তম মিনিটে লেস্টারের কিয়েরম্যান ডিউসবুরি-হলের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর দুই দলের খেলায় মরিয়া চেষ্টার ছাপ কমতে থাকে।

শেষ দিকে সাবধানী হয়ে ওঠে আর্সেনাল। ব্যবধান বাড়ানোর চেয়ে এগিয়ে থাকা গোলটি আগলে রাখতে মনোযোগী হয় তারা। শেষ পর্যন্ত সফলও হয় আর্তেতার দল।