জিকোর বীরত্বে টাইব্রেকারে জিতে স্বাধীনতা কাপ চ্যাম্পিয়ন কিংস

শেখ রাসেলকে আরেকবার ফাইনালে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করল বসুন্ধরা কিংস।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Dec 2022, 12:51 PM
Updated : 5 Dec 2022, 12:51 PM

পেনাল্টি শুটআউটে বল জালে পাঠালেন আনিসুর রহমান জিকো। ফলো থ্রুতে ভারসাম্য হারিয়ে তিনি পড়ে গেলেন। উঠে দাঁড়িয়ে দুই হাত প্রসারিত করে দিলেন দৌড়। ছুটে গিয়ে তাকে ঘিরে ধরলেন সতীর্থরা। তুলে নেওয়া হলো কাঁধে। চলল তাদের উদযাপন। টাইব্রেকারে দুটি শট ঠেকানোর পর নিজেও গোল করলেন জিকো। তার নৈপুণ্যে শেখ রাসেলকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ জিতল বসুন্ধরা কিংস। 

কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে সোমবারের ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে স্কোরলাইন ছিল ২-২। পরে টাইব্রেকারে ৪-১ গোলে জিতে উৎসবে মাতে কিংস। 

গত দুই আসরেও কিংস ফাইনালে খেলেছিল। প্রথমবার শেখ রাসেলকে হারিয়েই তারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, প্রথমবারের মতো। দ্বিতীয়বার হেরেছিল ঢাকা আবাহনীর কাছে। এবার শিরোপা পুনরুদ্ধার করল দলটি।

২০১৩ সালের চ্যাম্পিয়ন শেখ রাসেল পারল না প্রতিশোধ নিতে। তাদের আরেকটি শিরোপার অপেক্ষা আরও বেড়ে গেল। ফাইনালে হারল তারা এই নিয়ে তিনবার। 

ঘড়ির কাঁটায় ম্যাচের ৩৬ সেকেন্ডের মাথায় এগিয়ে যায় কিংস। শেখ রাসেলের এক ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সে ঢুকে কাছ থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন মিগুয়েল ফিগেরা। 

দ্বাদশ মিনিটেই সমতায় ফেরে শেখ রাসেল। সতীর্থের ক্রসে ডি-বক্সে হেডে গোলটি করেন সানডে উদো। 

৩০তম মিনিটে এগিয়েও যায় শেখ রাসেল। বক্সে ঢুকে পড়া বাপুকোকে ফাউল করেন ডিফেন্ডার তারেক কাজী। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। স্পট-কিকে বল জালে পাঠান চার্লস দিদিয়ে। 

বিরতির আগে ফিগেরাকে শেখ রাসেলের ইয়াসিন খান বক্সে ফেলে দিলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ২-২ সমতা টানেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রবসন দি সিলভা রবিনিয়ো। 

এরপর দ্বিতীয়ার্ধ ও অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে স্কোরলাইনে কোনো পরিবর্তন আসেনি। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানে কিংসের প্রথম শটে গোল করেন রবিনিয়ো। শেখ রাসেলের সোহেল রানার নেওয়া প্রথম শট বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান জিকো। 

কিংসের দ্বিতীয় শটে জাল খুঁজে নেন দোরিয়েলতন। এরপর শেখ রাসেলের হয়ে গোল করেন হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস। 

বল জালে পাঠিয়ে কিংসের তিনে তিন করেন রেজা খান। জিকো একইভাবে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান শেখ রাসেলের খালেকুজ্জামানের শট। এরপর জাতীয় দলের এই গোলরক্ষক বল জালে পাঠাতেই শুরু হয়ে যায় কিংসের উৎসব। 

অসাধারণ ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জিকো।