গত কয়েকমাস প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার মধ্যে না থাকা এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে দলে ভিড়িয়েছে আবাহনী, তাকে ফিলিস্তিন ম্যাচের দলে রেখেছেন জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও।
Published : 29 Feb 2024, 04:50 PM
মৌখিকভাবে কথা পাকাপাকি হয়েছিল আগেই। আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার আবাহনীতে পা রাখলেন জামাল ভূঁইয়া। আপাতত মৌসুমের বাকি অংশের জন্য আকাশি-নীল জার্সিতে খেলবেন তিনি।
কিছু ‘কিন্তু-যদি’র মারপ্যাঁচ অবশ্য আছে এখনও। আর্জেন্টিনার দল সোল দে মাইয়োর কাছ থেকে এখনও ছাড়পত্র মেলেনি জামালের। সেটা পাওয়ার চেষ্টা চলছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন আবাহনীর টিম ম্যানেজার কাজী নজরুল ইসলাম।
“এ মৌসুমে জামাল আবাহনীর হয়ে খেলবে। ছাড়পত্র পাওয়ার কিছু ব্যাপার রয়েছে, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। ওটা পেয়ে গেলেই সে আবাহনীর হয়ে খেলতে পারবে। দীর্ঘ সময়ের ভাবনা মাথায় রেখেই জামালকে নিয়েছি আমরা।”
আর্জেন্টিনার তৃতীয় স্তরের লিগ মৌসুমের সময় নয় এখন। এ কারণেই সোল দে মাইয়োর হয়ে গত কয়েকমাস প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার মধ্যে ছিলেন না জামাল। তবে ৩৩ বছর বয়সী এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারকে বড় আশা নিয়েই দলে রাখা হয়েছে বলে জানালেন নজরুল।
“জামাল স্থানীয় খেলোয়াড়, এখানকার সবকিছু সম্পর্কেই সে ভালোভাবে জানে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেললেও তাকে কিন্তু জাতীয় দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরাও দলে রেখেছেন। জাতীয় দলে খেলা একজনকে আমরা পেলে তাকে কেন নেব না? সে খেলার মতো পর্যায়ে আছে বলেই জাতীয় দল আছে। আমরাও আশা করি, জামালের কাছ থেকে অনেক কিছু পাব।”
ফিলিস্তিন ম্যাচ সামনে রেখে আগামী শনিবার সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা হবে বাংলাদেশ দল। সেখানে ১৫ দিনের ক্যাম্প করে কুয়েতের পথে উড়াল দেবে ২১ মার্চ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপের বাছাইয়ের প্রথম লেগের ম্যাচ খেলতে।
বাফুফে ভবনে সৌদি আরবের ক্যাম্প ও ফিলিস্তিন ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে এসে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ফুটবলের মধ্যে না থাকা জামালকে রাখা নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন কাবরেরা। জাতীয় দলের কোচ জানিয়েছেন, ম্যাচ টাইমের চেয়েও অন্য গুরুত্বপূর্ণ দিক তিনি বিবেচনায় রেখে নিয়েছেন সিদ্ধান্ত।
“জামাল ভূঁইয়া খেলার মধ্যে ছিল না সে যে দেশটিতে (আর্জেন্টিনা) খেলত, তাদের সিদ্ধান্তের কারণে। আমি খুব ভালোভাবে জানি যে, সে সোল দে মাইয়োতে অনুশীলনের মধ্যে ছিল এবং তাদের হয়ে প্রীতি ম্যাচগুলো খেলেছে। আমি জানি সে ফিট আছে। নিশ্চিতভাবেই প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ না খেলার কমতিটুকু রয়েছে, কিন্তু সেটা আর্জেন্টিনার লিগের পরিস্থিতির কারণে।”
“আমি মনে করি, জামাল এখনও অধিনায়ক এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলকে অনেক কিছু দিতে পারে। এই তালিকায় তাকে রাখা নিয়ে আমাদের কোনো সংশয় ছিল না। ম্যাচ টাইমের চেয়ে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আপনি কোন ধরনের অধিনায়ক। আপনি কীভাবে মাঠে দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কীভাবে দলের সামনে উদাহরণ তৈরি করছেন, এগুলোই গুরুত্বপূর্ণ। দলে তরুণ অনেক খেলোয়াড় আছে এবং আমি আগেও বলেছি, সে তাদের জন্য অনুসরণ করার মতো ভালো উদাহরণ।”