মাত্র ১৮ বছর বয়সেই ক্লাব ও জাতীয় দলে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গাভি। প্রতিভাবান এই তরুণ মিডফিল্ডারকে মাঠে বেশ সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায়। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের কঠিন সব চ্যালেঞ্জ করে বসেন, নিজেও ফাউলের শিকার হন অনেক। কেউ কেউ তার এই আগ্রাসী খেলার ধরনের সমালোচনা করে থাকেন। এতে ভীষণ ক্ষুব্ধ শাভি এরনান্দেস।
বার্সেলোনা কোচ মনে করেন, একইভাবে খেলে স্পেন দলে ঠিকই প্রশংসিত হন গাভি। বিপরীতে বার্সেলোনায় এসে পড়েন সমালোচকদের তোপের মুখে।
চলতি মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে ১৭টি লা লিগার ম্যাচ খেলেছেন গাভি, ১২টি ম্যাচে ছিলেন শুরুর একাদশে। এই ম্যাচগুলোতে ৪১ বার ফাউল করেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। কাতালান ক্লাবটির খেলোয়াড়দের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ, আর স্পেনের শীর্ষ লিগে তৃতীয়। লিগে গড়ে প্রতি ম্যাচে ট্যাকলের দিক থেকে বার্সেলোনায় গাভির (১.৬৫) ওপরে আছেন কেবল অভিজ্ঞ মিডফিল্ডার সের্হিও বুসকেতস (১.৭৩)।
গাভির খেলার ধরনের সঙ্গে অনেকে মিল খুঁজে পান ৯ বছর রিয়াল মাদ্রিদে খেলে ১৮টি শিরোপা জিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়া কাসেমিরোর। মাঠে দুজনের আক্রমনাত্মক মানসিকতা ও কঠিন সব চ্যালেঞ্জের দক্ষতার কারণেই এই তুলনা।
গাভির দিকে ধেয়ে আসা সমালোচনা কেবল একপাক্ষিক বলে মনে করেন শাভি। কোপা দেল রের শেষ আটে বুধবার রাতে রিয়াল সোসিয়েদাদের বিপক্ষে খেলবে বার্সেলোনা।
এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে শাভি বলেন, ঠিক একই কাজের জন্য স্পেন দলে প্রশংসিত হলেও বার্সেলোনার জার্সিতেই বদলে যায় চিত্র।
“আমার কাছে মনে হয়, সে যখন (স্পেন) জাতীয় দলে খেলে তখন সে অসাধারণ হয়ে যায় এবং যখনই সে বার্সার হয়ে খেলে, তখন সে সীমা অতিক্রম করে ফেলে।”
“বাইরে থেকে আমার কাছে এমনটাই মনে হয়। (স্পেনের হয়ে) সে দৃঢ়তা ও সাহসিকতার উদাহরণ এবং যখন সে বার্সায় থাকে, তখন তাকে ভালো লাগে না, তাই না? আসলে এটিই স্বাভাবিক। আরও বড় ব্যাপার হল, আমরা জিতলে তাকে আরও কম পছন্দ করা হয়।”