‘হোম ম্যাচ’ বলে কিছু নেই, বললেন সিশেলস কোচ

নিজেদের মাঠে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধা পাবে বলে মনে করেন না নেভিল ভিভিয়ান বোথ।

ক্রীড়া প্রতিবেদকসিলেট থেকেবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2023, 02:06 PM
Updated : 24 March 2023, 02:06 PM

অদ্ভুত শোনালো নেভিল ভিভিয়ান বোথের কথা। বাংলাদেশ ম্যাচ সামনে রেখে সিশেলস কোচ ‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ বলে কিছু আছে বলে মনেই করেন না! করবেনই বা কী করে। তার দল যে নিজেদের মাঠে খেলে না সেই ২০১৯ সাল থেকে!

স্তাদে লিনিতে সিশেলসের হোম গ্রাউন্ড। মাত্র ১০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এ মাঠে সবশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবরে আফ্রিকা নেশন্স কাপের বাছাই খেলেছিল দলটি। এরপর থেকে তারা তাদের হোম ও অ্যাওয়ে সব ম্যাচ খেলে বেড়াচ্ছে বিদেশ-বিভূইতে। এ কারণেই কি-না, সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে খেলার কোনো সুবিধা পাবে বলে মনে করেন না বোথ।

দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে শনিবার পৌনে ৪টায় বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে সিশেলস। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে হোম গ্রাউন্ডের প্রসঙ্গ উঠতেই বোথ জানালেন নিজের ভাবনা।

“আমাদের কাছে সব ম্যাচই অ্যাওয়ে ম্যাচ এবং আমরা ঘরের বাইরে ম্যাচ খেলতে অভ্যস্ত। তাই নিজেদের মাঠে কিংবা অন্যের মাঠে খেলার মধ্যে কোনো সুবিধা বা অসুবিধা দেখি না আমরা।”

দুই দলের প্রথম ও সবশেষ দেখা হয়েছিল ২০২১ সালে মাহিন্দা রাজাপাকসে টুর্নামেন্টে। সেই ম্যাচ হয়েছিল ১-১ ড্র। তবে তিন দেশকে নিয়ে হওয়া ওই আসরে শিরোপা জিতেছিল ফিফা র‌্যাঙ্কিংয়ে ১৯৯তম স্থানে থাকা সিশেলসই। সেই ম্যাচের স্মৃতি আওড়ে বোথ বাংলাদেশের প্রশংসা করলেন বটে, কিন্তু নিজেদের লক্ষ্যের প্রশ্নের জানালেন জয়ের আশাবাদও।

“গত দেড় মাসে আমরা প্রতি সোমবার প্রস্তুতি নিয়েছি, তাতে ছয়টি ট্রেনিং সেশন করেছি এবং প্রস্তুতি বেশ ভালো হয়েছে। আমরা জানি, বাংলাদেশের বিপক্ষে এবারের ম্যাচটি শ্রীলঙ্কার সেই ম্যাচটির মতো সহজ হবে না, শ্রীলঙ্কার ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।”

“আমাদের দলে তরুণ কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় আছে, যারা দলের সঙ্গে মানানসই। শ্রীলঙ্কায় খেলা দলে আটটি পরিবর্তন হয়েছে। ইংল্যান্ডে খেলা দুজন (ড্যারিল লুইস ও মাইকেল মানচিনে আছে। মানচিনে প্রথম বিভাগে এবং নিচের স্তরে ড্যারিল খেলে। অগাস্টে আমাদের ইন্ডিয়ান ওসান গেমস আছে। এই ম্যাচ দুটি ওই আসরে প্রস্তুতির উপলক্ষ এবং এখানে জিতলে তরুণরা অনুপ্রাণিত হবে।”

সিশেলস ম্যাচের জন্য সৌদি আরবে নেওয়া দশ দিনের প্রস্তুতির ফাঁকে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচে আফ্রিকার দল মালাবির বিপক্ষে ১-১ ড্র করে দল। এ ম্যাচে চোখ রেখেছিলেন সিশেলস কোচ। ২০২১ সালের বাংলাদেশ ও বর্তমান দলে পার্থক্য দেখছেন তিনি।

“আমি বাংলাদেশের সবশেষ ম্যাচ দেখেছি। আমার মনে হয়, ২০২১ সালের চেয়ে তারা উন্নতি করেছে এবং আমি জানি, তাদের বিপক্ষে ম্যাচটি সহজ হবে না, কিন্তু আমরা জয়ের চেষ্টা করব, বিশেষ করে প্রথম ম্যাচটা। কেননা, আগেই বলেছি, অগাস্টে ইন্ডিয়ান ওসান গেমসের প্রস্তুতির জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ।”

“বাংলাদেশের বিপক্ষে (প্রথম ম্যাচে) আমরা শক্তিশালী একাদশ সাজাব এবং দ্বিতীয় ম্যাচ তরুণদের সুযোগ দিব গেমস সামনে রেখে অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য। প্রথম ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশা আমার এবং এরপর দেখব দ্বিতীয় ম্যাচে কী করা যায়।”