অলেকসান্দার জিনচেঙ্কো বললেন, সুযোগ এলে যুদ্ধে অংশ নিতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না তিনি।
Published : 06 Apr 2024, 03:55 PM
লম্বা সময় ধরে চলছে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ। ২০২২ সালে রাশিয়ার আগ্রাসনে যুদ্ধবিধ্বস্ত এক দেশে পরিণত হয়েছে ইউক্রেইন। দেশমাতৃকার জন্য হাসফাঁস করছে অলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর মন। জানালেন, প্রয়োজন পড়লে ফুটবলের সবুজ আঙিনা ছেড়ে যুদ্ধের ময়দানে যেতে দ্বিতীয়বার ভাববেন না তিনি।
কঠিন সময়ের মধ্যে থাকা দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে এরই মধ্যে ১০ লাখ পাউন্ড দান করেছেন জিনচেঙ্কো। আর্সেনালের এই ডিফেন্ডার এবার জানালেন, ডাক পড়লে সব কিছু ছেড়ে দিয়ে ইউক্রেনে ফিরে যাবেন।
জিনচেঙ্কো ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন রাশিয়ার ক্লাব উফায়। এরপর ২০১৬ সালে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন তিনি। ইংলিশ ক্লাবটির হয়ে চারটি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা জিতেছেন ২৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার।
২০২২ সালে সাড়ে ৩ কোটি পাউন্ডে আর্সেনালে পাড়ি জমান জিনচেঙ্কো। বিবিসির নিউজনাইটে তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, যুদ্ধে যোগ দেওয়ার ডাক পড়লে যাবেন কিনা। উত্তরে তিনি বলেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাববেন না।
“আমার মনে হয়, এখানে ভাবাভাবির কিছু নাই। পরিষ্কার উত্তর হলো, আমি যাব।”
জিনচেঙ্কো জানিয়েছেন, তার স্কুলের কয়েকজন বন্ধু এরই মধ্যে ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছেন।
“এটা বুঝে ওঠা খুব কঠিন যে, কিছুদিন আগেও আমরা একই স্কুলে ছিলাম, খেলার মাঠ বা ফুটবল মাঠে খেলছিলাম এবং এখন তাদের আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হবে। সত্যি বলতে, এটা মেনে নেওয়া খুব কঠিন, কিন্তু এখন এটাই বাস্তব। আমরা হাল ছেড়ে দিতে পারি না।”
রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ যোগ দেওয়ার বয়স ২৭ থেকে কমিয়ে ২৫ করার জন্য চলতি সপ্তাহে একটি বিলে স্বাক্ষর করেছেন ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
চলমান এই যুদ্ধের কারণে অনেকের সঙ্গেই এখন যোগাযোগ নেই জিনচেঙ্কোর। বললেন, রাশিয়া জাতীয় দলের সতীর্থদের সঙ্গে এখন খুবই কম কথা হয় তার।
“(রাশিয়ার) আক্রমণের পর থেকে খুব কম মানুষই আমাকে টেক্সট করেছে, বার্তা পাঠিয়েছে এবং এর জন্য তাদের দোষারোপ করতে পারি না, কারণ এটি তাদের দোষ নয়। তাদের বলতে পারি না, ‘বন্ধুরা, বাইরে বিক্ষোভ কর কিংবা এই সব বিষয়।’ কারণ আমি জানি, এর জন্য তাদের কারাগারে যেতে হতে পারে।”