প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গেল মোহামেডান। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে স্পট কিক থেকেই সমতা ফেরাল আবাহনী। পরে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর আর কেউই পেল না জালের দেখা।
কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে শুক্রবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়েছে। সুলেমানে দিয়াবাতে মোহামেডানকে এগিয়ে নেওয়ার পর আবাহনীকে সমতায় ফেরান দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরা।
১৭ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে আবাহনী। তাদের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলা মোহামেডান ২৩ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে।
মোহামেডানের দিয়াবাতের গোল
শুরু থেকে আবাহনীর রক্ষণে চাপ দিতে থাকে মোহামেডান। সপ্তম মিনিটে সুযোগও পেয়ে যায় তারা। কিন্তু বক্সে ফাঁকায় বল পেয়েও শট নিতে পারেননি মোহামেডান অধিনায়ক দিয়াবাতে। ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়ে নষ্ট করেন ভালো সুযোগ।
সুযোগ ২৩তম কড়া নাড়ে আবাহনীর দরজায়। কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল মোহামেডানের। হৃদয়ের একটু ঝুলিয়ে নেওয়া শট ক্রসবারে লেগে ফেরে।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে স্পট কিক থেকে মোহামেডানকে এগিয়ে নেন দিয়াবাতে। ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া এই ফরোয়ার্ডকেই পেছন থেকে ইউসুফ ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। চলতি লিগে মালির এই ফরোয়ার্ডের গোল হলো ১২টি।
মরিয়া আবাহনীর ত্রাতা কলিনদ্রেস
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দল লড়তে থাকে প্রায় সমান তালে। ৫৫তম মিনিটে কলিনদ্রেসের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৫তম মিনিটে দিয়াবাতের শট আটকান আবাহনী গোলরক্ষক মেহেদী হাসান প্রীতম।
৭৯তম মিনিটে বক্সে কলিনদ্রেস ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় আবাহনী। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তাপ ছড়ায় দুই পক্ষের মধ্যে। পরিস্থিতি ঠাণ্ডা হওয়ার পর স্পট কিক থেকে সমতা ফেরান কোস্টারিকার ফরোয়ার্ড কলিনদ্রেস।
অপেক্ষা এখন ফেডারেশন কাপ ফাইনালের
দুই দলেরই প্রিমিয়ার লিগ শিরোপার আশা ছিল না। শুক্রবার কিংস অ্যারেনায় ১০ গোলের রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো লিগ জিতে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস।
আবাহনী ও মোহামেডান তাই এখন ক্ষণ গুণছে ৩০ জুনের। ফেডারেশন কাপের শিরোপা লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে দুই দল। ঘরোয়া ফুটবলের শীর্ষ পর্যায়ের তিন শিরোপার দুটি স্বাধীনতা কাপ ও লিগ জিতে নিয়েছে কিংস। বাকি আছে কেবল ফেডারেশন কাপ, কার হাতে উঠবে, সেটিই দেখার।
এই প্রতিযোগিতার রেকর্ড ১২বারের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী এবার নামবে মুকুট ধরে রাখার লড়াইয়ে। ১০ শিরোপার সবশেষটি মোহামেডান জিতেছিল সেই ২০০৯ সালে।