সৌদি আরবে দশ দিনের এবং সিলেটে এসে সপ্তাহখানেকের প্রস্তুতি শেষ। এবার অপেক্ষা মাঠে নিজেদের মেলে ধরার। এ কয়দিনে কোচের কৌশল কতটা রপ্ত করা গেল, তা অনুবাদের। সিশেলস ম্যাচের আগে বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও অনুভব করছেন সেই তাড়না। সতীর্থদের তাই স্পষ্ট বার্তা দিয়ে বললেন, দর্শকদের দেখাতে হবে আমরা ভালো দল।
সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে শনিবার পৌনে ৪টায় দুই ম্যাচের সিরিজের প্রথম দ্বৈরথে সিশেলসের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ফিফা র্যাঙ্কিং যদিও বাংলাদেশের অবস্থান ১৯২তম, তবে সিশেলসের চেয়ে এগিয়ে সাত ধাপ।
সিশেলস ম্যাচ দিয়েই গত সেপ্টেম্বরের পর আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরবে বাংলাদেশ। প্রায় ছয় মাস আগের স্মৃতি জামালদের জন্য বেশ তিক্ত। কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে নেপালে গিয়ে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছিল দল।
গত ১৫ মার্চ সৌদি আরবে প্রস্তুতির ফাঁকে আফ্রিকার দল মালাবির বিপক্ষে একটি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। ১-১ ড্র ওই ম্যাচটি ‘আন-অফিসিয়াল’। তাই সিশেলসের বিপক্ষের সিরিজ নিয়ে অধিনায়কের প্রত্যাশা বেশি, বিশেষ করে আসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের প্রস্তুতির জন্য।
তাছাড়া গত বছর মার্চে সিলেটেই মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। স্থানীয় সমর্থকদের সবশেষ সেই হোম ম্যাচে মন ভরাতে পারেননি জামাল-জিকোরা। এবার তাই নিজেদের সামর্থ্য দেখানোর তাড়না অধিনায়কের আরও বেশি।
“আমরা অনেক দিন এক সাথে আছি; এক মাসের মতো। কঠোর অনুশীলন করেছি, দুইটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছি। এখানে এক সপ্তাহ এসেছি। আমরা এই দুই ম্যাচের জন্য প্রস্তুত। দলের সবাই ইতিবাচক। সাফের আগে এই দুই ম্যাচে ভালো ফল দরকার।”
“অন্য ম্যাচগুলোর মতোই এই দুটি ম্যাচ গুরুত্বসহকারে নিয়েছি আমরা। প্রায় এক বছর পর নিজেদের মাঠে খেলা। তাই আমাদের সেরা পারফরম্যান্স করতে হবে। দর্শকদের দেখাতে হবে যে আমরা ভালো দল।”
র্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধান নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না জামাল। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যয়ী কণ্ঠে জানালেন, দর্শকদের মুখে হাসি ফোটাতে প্রচেষ্টায় কমতি রাখবেন না তারা।
“সিশেলস শারীরিকভাবে খুবই শক্তিশালী। তারা অপেশাদার হলেও তাদের দলে দুই-তিন জন খেলোয়াড় আছে যারা পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। র্যাঙ্কিংয়ে নিচের বা উপরের দিকের দল হোক না কেন, আমাদের প্রচেষ্টা একই থাকে। সিশেলসের বিপক্ষেও তাই থাকবে।”