বৈশ্বিক আসরের আগে চোট পেলে তা খেলোয়াড়দের আতঙ্কিত করে তুলছে বলে মনে করেন ওয়েলস ফরোয়ার্ড।
Published : 06 Nov 2022, 11:21 PM
বিশ্বকাপ কড়া নাড়ছে দরজায়, এই সময় ছোট-খাটো চোটও খেলোয়াড়দের ভীষণ ভাবিয়ে তুলছে। সেই সঙ্গে ওই খেলোয়াড়ের জাতীয় দলকেও। এক্ষেত্রে নামটা যদি হয় গ্যারেথ বেল, তাহলে তো আরও দুর্ভাবনার। কেননা চোটের সঙ্গেই যে সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের বসবাস! তাই পায়ের চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরতে পেরে যেন স্বস্তির নি:শ্বাস ফেলছেন ওয়েলস তারকা।
লস অ্যাঞ্জেলসে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাতে এমএলএস কাপের ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরে বেল স্বস্তি প্রকাশ করলেন। বললেন, মাঝে সেরে ওঠার পুরো সময়েই বিশ্বকাপ মিস করার শঙ্কায় ছিলেন তিনি।
মাঠে ফেরাটাও দুর্দান্ত হয়েছে তার। ফিলাডেলফিয়ার বিপক্ষে ফাইনালে নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ে ৩-৩ সমতার পর টাইব্রেকারে ৩-০ গোলে জেতে লস অ্যাঞ্জেলেস।
গত জুনে লস অ্যাঞ্জেলেসে যোগ দেওয়া বেল ৯৭তম মিনিটে বদলি হিসেবে নামেন। ম্যাচে তখন ছিল ২-২ সমতা। এরপর নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের ১২০ মিনিটের পর যোগ করা সময়ের চতুর্থ মিনিটে এগিয়ে যায় ফিলাডেলফিয়া। শেষ মুহূর্তে হেড থেকে দারুণ এক গোলে সমতা টানেন বেল।
ম্যাচের পর শিরোপা জয়ের আনন্দের পাশাপাশি বেলের কন্ঠে ফুটে উঠল বিশ্বকাপের আগ মুহূর্তে চোটে পড়ার দুঃসহ স্মৃতি।
“সময় যত যাচ্ছে আমি তত ভালো বোধ করছি। কয়েক সপ্তাহ আগে আমি হালকা আঘাত পেয়েছিলাম, যা আমাকে গত ১০ দিন বাইরে রেখেছিল।”
“বিশ্বকাপকে সামনে রেখে মানসিক দিক থেকে এটা কঠিন ছিল। আপনার দেখছেন অনেক খেলোয়াড়ই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাচ্ছে।”
বেলের মতে, বৈশ্বিক আসরের আগে যেকোনো চোটই খেলোয়াড়দের কঠিন চাপে ফেলে দিচ্ছে।
“মানসিকভাবে এটা কঠিন ছিল। আমি নিশ্চিত বিশ্বকাপের আগে খেলার সময় আরও অনেক খেলোয়াড়ই এর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।”
“নিঃসন্দেহে শতভাগ ফিট হয়ে মাঠে ফেরার ব্যাপারটা আমার মাথায় ছিল। আজ অবশ্যই আমি মাঠে নামার জন্য যথেষ্ট ভালো অনুভব করেছি এবং দলকে সাহায্য করতে পেরে ভালো লাগছে। আর যেমনটা আমি বলেছি, এই শিরোপা জিততে পেরে ভালো লাগছে।”
কাতার বিশ্বকাপে ওয়েলসের প্রথম ম্যাচ আগামী ২২ নভেম্বর, যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে।
'বি' গ্রুপে তাদের অন্য দুই সঙ্গী ইংল্যান্ড ও ইরান।