ডে ব্রুইনে-ফোডেনের নৈপুণ্যে জয়ের ধারায় ম্যানচেস্টার সিটি

ঘরের মাঠে প্রথম গোলের জন্য উন্মুখ থাকলেও জালের দেখা পাননি আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক আর্লিং হলান্ড।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 August 2022, 04:06 PM
Updated : 13 August 2022, 04:06 PM

আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা আর্লিং হলান্ড ঘরের মাঠে জালের দেখা পেতে মরিয়া চেষ্টা করেও পারলেন না। তবে ভূমিকা রাখলেন সতীর্থের গোলে। ফিল ফোডেনের সঙ্গে দারুণ বোঝাপড়ায় আলো ছড়ালেন কেভিন ডে ব্রুইনেও। বোর্নমাউথকে অনায়াসে হারাল ম্যানচেস্টার সিটি।

ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার প্রিমিয়ার লিগে ৪-০ গোলে জিতেছে সিটি। জয়ী দলের তিন গোলদাতা ইলকাই গিনদোয়ান, ডে ব্রুইনে, ফোডেন। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।

মুকুট ধরে রাখার মিশনে টানা দ্বিতীয় জয় পেল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। লিগে তারা যাত্রা শুরু করেছিল ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে।

নিজেদের মাঠে আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে ইতিহাদের আঙিনায় ফুটল আতশবাজি; নীল ধোঁয়ায় নীলাভ হয়ে গেল চারিধার।

শুরু থেকে আক্রমণের ঢেউ তোলে সিটি। অষ্টম মিনিটে গোলও পেয়ে যেতে পারত দলটি। কেভিন ডে ব্রুইনের শট এক খেলোয়াড়ের গায়ে লাগার পর বক্সে পেয়ে যান ফিল ফোডেন, তার নিচু শট আটকান গোলরক্ষক মার্ক ট্রাভিস।

দুই মৌসুম পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরা বোর্নমাউথ জাল অক্ষত রাখতে পারেনি বেশিক্ষণ। ১৯তম মিনিটে হলান্ড-গিনদোয়ানের দারুণ বোঝপড়ায় গোল পেয়ে যায় আগের ম্যাচে ওয়েস্ট হ্যামকে হারিয়ে আসা সিটি। ব্যাকহিলে হলান্ডকে বল বাড়িয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন গিনদোয়ান, ফিরতি বল নিচু শটে জালে জড়ান এই জার্মান মিডফিল্ডার।

আক্রমণের ধারা ধরে রেখে ৩১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটি। ফোডেনের পাস ধরে বডি ডজে ডিফেন্ডার লয়েড কেলিকে এলোমেলো করে দিয়ে নিখুঁত শটে জাল খুঁজে নেন ডে ব্রুইনে।

ছয় মিনিট পরের গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় সিটির মুঠোয়। এবার নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের বাড়ানো ক্রস ধরে ডে ব্রুইনে বাড়ান ফোডেনকে। প্রথম স্পর্শে বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।

লিগের অভিষেকে জোড়া গোল করা হলান্ড প্রথমার্ধের শেষ দিকে স্কোরলাইনে নাম লেখাতে পারতেন। কিন্তু তার শট লাফিয়ে ক্রসবারের উপর দিয়ে বের করে দেন গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধে সিটির খেলায় ছিল না মরিয়া ভাব। ৫৯তম মিনিটে গিনদোয়ানের শট বাইরে যায়। ৭৩তম মিনিটে নরওয়ের ফরোয়ার্ড হলান্ডের কোনাকুনি শট দূরের পোস্ট দিয়ে বেরিয়ে যায়, হতাশায় মুখ ঢাকতে দেখা যায় তাকে। এর পরপরই তাকে তুলে নেন গুয়ার্দিওলা, বদলি নামেন হুলিয়ান আলভারেস।

৭৯তম মিনিটের আত্মঘাতী গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা শেষ হয়ে যায় বোর্নমাউথের। জোয়াও কানসেলোর শট জেফেরসন লেরমার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে লিগ শুরু করা বোর্নমাউথ পেল প্রথম হারের তেতো স্বাদ। সিটির বিপক্ষে দলটির ব্যর্থতার পাল্লা আরও ভারি হলো। শীর্ষ পর্যায়ে সিটির বিপক্ষে এ নিয়ে ১১ ম্যাচের সবগুলোতেই হারল তারা।