গোল্ড কোস্টের চেয়ে এক কেজি বেশি তুললেন; স্রেফ এটুকুই মাবিয়া আক্তার সীমান্তের তৃপ্তি। পদকের লড়াইয়ের ধারেকাছেও যেতে পারেননি বাংলাদেশের এই ভারোত্তোলক। বার্মিংহাম কমনওয়েলথ গেমসের ভারোত্তোলনে ১২ প্রতিযোগীর মধ্যে অষ্টম হয়েছেন তিনি।
এনইসি হলে সোমবার মেয়েদের ৬৪ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচে (৭৮) ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক (১০৩) মিলিয়ে ১৮১ কেজি তোলেন মাবিয়া।
২৩১ কেজি তুলে গেমসের রেকর্ড গড়ে সোনা জিতেছেন কানাডার মৌড শ্যারন।
২০১৮ সালে গোল্ড কোস্ট কমনওয়েলথ গেমসে ভিন্ন ওজন শ্রেণিতে খেলেছিলেন মাবিয়া। সেবার ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে স্ন্যাচ ও ক্লিন অ্যান্ড জার্ক মিলিয়ে ১৮০ কেজি তুলে ষষ্ঠ হয়েছিলেন তিনি।
দেশের প্রথম নারী ভারোত্তোলক হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে টানা দুই আসরে সোনা জয়ের কীর্তি গড়েন মাবিয়া। ২০১৬ সালে ভারতের শিলং-গুয়াহাটিতে ৬৩ কেজি ওজন শ্রেণিতে সব মিলিয়ে ১৪৯ কেজি তুলে সেরা হন তিনি। ২০১৯ সালে নেপালের কাঠমাণ্ডু-পোখারার আসরে ৭৬ কেজি ওজন শ্রেণিতে সেরা হন ১৮৫ কেজি তুলে।
অনান্য ডিসিপ্লিনেও সাদামাটা বাংলাদেশ। বক্সিংয়ে ৫৪-৫৭ কেজি ওজন শ্রেণির ফেদারওয়েট ক্যাটাগরির ষোলোতম রাউন্ডের লড়াইয়ে বাংলাদেশের সেলিম হোসেইন ৫-০ পয়েন্টে ভারতের মোহাম্মাদ হুসাম উদ্দিনের কাছে হেরেছেন।
সাঁতারে ৫০ মিটার ব্রেস্টস্ট্রোকে বাংলাদেশের সুকুমার রাজবংশী ২৯ দশমিক ৯৬ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের হিটে আট জনের মধ্যে ষষ্ঠ এবং সব মিলিয়ে ৪০ প্রতিযোগীর মধ্যে ৩০তম হন।
১০০ মিটার বাটারফ্লাইয়ে মাহমুদুন্নবী নাহিদ ৫৬ দশমিক ৭৮ সেকেন্ড সময় নিয়ে নিজের হিটে চতুর্থ এবং সব মিলিয়ে ৪৭ জনের মধ্যে ২৬তম হয়েছেন।