নেপালের সঙ্গে ড্র করে ফাইনালে বাংলাদেশ

লিগ পর্বের সেরা দল হয়ে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠেছে পল থমাস স্মলির দল।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 August 2022, 12:30 PM
Updated : 2 August 2022, 01:02 PM

ফাইনালের মঞ্চে উঠতে যথেষ্ট ছিল ড্র। বাংলাদেশের লক্ষ্য যদিও ছিল জয়রথে থাকার। পিয়াস আহমেদের গোলে সেই সম্ভাবনাও জেগেছিল। নেপাল পরে ঘুরে দাঁড়াল লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত সমীকরণ মিলিয়ে ঠিকই সাফ অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে গেল বাংলাদেশ।

ভুবনেশ্বরের কালিংগা স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাউন্ড রবিন লিগে নিজেদের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে ১-১ ড্র করল বাংলাদেশ।

তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে রাউন্ড রবিন লিগের সেরা দল হিসেবে ফাইনালের পা রাখল বাংলাদেশের যুবারা।

আগের তিন ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০, ভারতকে ২-১ ও মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে হারায় বাংলাদেশ।

এই ম্যাচের পর নেপাল ও ভারতের পয়েন্ট ৬। লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে মঙ্গলবারই মুখোমুখি হবে ভারত ও মালদ্বীপ। এ ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেবে ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ।

নেপালের জন্য ফাইনাল খেলতে হলে এই ম্যাচ জয়ের বিকল্প কিছু ছিল না। আগের ম্যাচে ভারতের কাছে আট গোল হজম করা দলটি বাঁচা-মরার লড়াইয়ে নেমে তাই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকে। রক্ষণ অটুট রেখে পাল্টা আক্রমণের ছকে ছিল বাংলাদেশ।

নবম মিনিটে সতীর্থের বাড়ানো পাসে রফিকুল ইসলাম নাগাল পাওয়ার আগেই ছুটে এসে গ্লাভসে নেন নেপাল গোলরক্ষক।

ত্রয়োদশ মিনিটে সুমিত শ্রেষ্ঠার ভুল হেড পাসে সুযোগ পেয়েছিলেন রফিকুল, কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর শট নিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন মালদ্বীপের বিপক্ষে গোল করা এই ফরোয়ার্ড।

বাংলাদেশের অর্ধে সিংহভাগ সময় খেলা হলেও পোস্টের নিচে শক্ত দেয়াল হয়ে ছিলেন মোহাম্মদ আসিফ। পঞ্চদশ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে আইয়ুশ গালানের শট গ্লাভসের টোকায় কর্নার দিয়ে বের করে দেন এই গোলরক্ষক।

৩৩তম মিনিটে বক্সের একটু উপর থেকে দিপেশ গুরংয়ের বাঁকানো ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে আটকে আবারও বাংলাদেশের ত্রাতা আসিফ। বিরতির আগে বাংলাদেশ জালে বল জড়ালেও অফসাইডের কারণে গোল হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে দশ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। তানভীর আহমেদের ট্যাকলে পড়ে যান কৃতিশ রেইনা। এ নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি শুরু হয়। দুই পক্ষের মধ্যে বেঁধে যায় ধাক্কাধাক্কি। রেফারি শাহিদুল ইসলামকে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেন, তানভিরকেও হলুদ কার্ড দেখান তিনি। নেপালের দিপেশকেও দেখান লালকার্ড। বেঞ্চে থাকা ২০ নম্বরও লালকার্ড পান।

৬৩তম মিনিটে সতীর্থের কাট ব্যাকে নিখুঁত প্লেসিং শটে পিয়াস আহমেদ নোভা লক্ষ্যভেদ করেন। এগিয়ে যাওয়ার উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে বাংলাদেশ।

এই গোলে যদিও ছিল প্রতিপক্ষের ভুলের অবদান। নেপালের এক ডিফেন্ডার ভুল পাসে বল তুলে দিয়েছিলেন বাংলাদেশের একজনের পায়ে। সেই আক্রমণ থেকেই বল জালে পাঠান ভারত ম্যাচে জোড়া গোল করা পিয়াস।

৬৭তম মিনিটে বদলি নিরঞ্জন মাল্লা বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে সমতা ফেরান। তিন ডিফেন্ডার তার সামনে থাকলেও কেউই প্রতিরোধের চেষ্টা করেননি!

শেষ দিকে পিয়াসের ক্রস ক্রসবারের উপর দিয়ে উড়ে যায়। ৮৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুবর্ণ সুযোগও নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড। একক প্রচেষ্টায় আক্রমণে ওঠা পিয়াস গোলরক্ষককে একা পেয়েও বল তার গায়ে মেরে বসেন।

তবে শেষ পর্যন্ত আফসোসে পুড়তে হয়নি। লক্ষ্য পূরণের উচ্ছ্বাস নিয়ে মাঠ ছাড়ে দল।