এই নিয়ে লা লিগায় টানা ১৫ ম্যাচ অপরাজিত রইল কার্লো আনচেলত্তির দল।
Published : 27 Jan 2024, 10:22 PM
আরও একবার প্রথমার্ধের পুরোটা সময় ছন্দ খুঁজে ফিরল রেয়াল মাদ্রিদ। বিরতির পর পিছিয়েও পড়ল তারা। এরপর, সেই পুরোনো চিত্র। ঘুরে দাঁড়াল কার্লো আনচেলত্তির দল এবং লাস পালমাসকে হারিয়ে উঠে বসল লিগ টেবিলের শীর্ষে।
প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার লা লিগার ম্যাচটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছে রেয়াল। ম্যাচের তিনটি গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। জাভি মুনোসের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন ভিনিসিউস জুনিয়র। শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দেন অহেলিয়া চুয়ামেনি।
সাম্প্রতিক সময়েই বেশ কয়েক ম্যাচে এই রেয়ালকেই দেখা গেছে। শুরুতে নিজেদের ছন্নছাড়া পারফরম্যান্সেই হোক কিংবা প্রতিপক্ষের নৈপুণ্যে, পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়িয়ে জিতেছে তারা। গত সপ্তাহেই যেমন ঘরের মাঠে আলমেরিয়ার বিপক্ষে দুই গোল হজমের পর দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল করে জেতে রেয়াল।
এই নিয়ে লা লিগায় টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল তারা, আর অপরাজিত রইল ১৫ ম্যাচ।
ম্যাচ শুরুর পঞ্চম মিনিটেই দারুণ একটি সুযোগ পেয়ে যান রদ্রিগো; কিন্তু ওয়ান-অন-ওয়ানে থেকেও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। তার শট পা দিয়ে রুখে দেন পালমাস গোলরক্ষক।
দুই দলই ধীর গতির ফুটবল খেলতে থাকে। তাতে প্রথম আধা ঘণ্টায় আর তেমন কোনো নিশ্চিত সুযোগ তৈরি হয়নি। কয়েকটি হাফ-চান্স মিললেও দুই গোলরক্ষকের কাউকেই কঠিন পরীক্ষা দিতে হয়নি।
ঢিমেতালে এগোনো ম্যাচে ৩১তম মিনিটে একটু উত্তেজনা ছড়ায়; রেয়ালের ডি-বক্সে প্রতিপক্ষের ট্যাকলে সের্হি কার্দোনা পড়ে গেলে পেনাল্টির জোর আবেদন ওঠে। কিন্তু রেফারির সাড়া মেলেনি, ভিএআরও আগ্রহী হয়নি।
৩৪তম মিনিটে ভালো পজিশনে বল পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি কার্দোনা। ডি-বক্সে ফাঁকা থেকে উড়িয়ে মারেন এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার। দুই মিনিট পর ভিনিসিউসের কোনাকুনি শট ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। ৪১তম মিনিটে এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের আরেকটি শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধের অষ্টম মিনিটে ডান দিক দিয়ে শাণানো আক্রমণে রেয়ালকে হতভম্ব করে দেয় পালমাস। ডি-বক্সে ঢুকে ডিফেন্ডার আন্টোনিও রুডিগারের চ্যালেঞ্জ সামলে ছয় গজ বক্সের মুখে পাস দেন সান্দ্রো রামিরেস, আর ডান পায়ের নিখুঁত ছোঁয়ায় গোলটি করেন মুনোস।
চার মিনিট পর জালে বল পাঠিয়েছিলেন দানি কারভাহাল। কিন্তু লাইন্সম্যান অফসাইডের পতাকা তোলায় সমতায় ফেরা হয়নি রেয়ালের।
৬৪তম মিনিটে ম্যাচে এ পর্যন্ত সহজতম সুযোগটি পেয়েও নষ্ট করেন ভিনিসিউস। টনি ক্রুসের উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল ডি-বক্সে বুক দিয়ে দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে নেন তিনি। এরপরই ভুলটা করে বসেন, আগুয়ান গোলরক্ষকের ওপর দিয়ে বল নিতে গিয়ে পাঠিয়ে দেন বাইরে!
পরের মিনিটেই অবশ্য আগের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন ভিনিসিউস। মিডফিল্ডার কামাভিঙ্গার ডি-বক্সে বাড়ানো থ্রু বল বাঁ পায়ে প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
৮৪তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি পায় রেয়াল। ক্রুসের কর্নারে উড়ে আসা বল লাফিয়ে হেডে জালে জড়ান ফরাসি মিডফিল্ডার চুয়ামেনি।
২১ ম্যাচে ১৭ জয় ও তিন ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রেয়াল। ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে আসরের চমক জিরোনা।