চেলসি ছেড়ে ম্যান সিটিতে নাম লিখিয়ে ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার বললেন, গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে নিজেকে আরও শাণিত করতে চান তিনি।
Published : 28 Jun 2023, 11:00 AM
খেলার ধরন আর ট্রফির সাফল্য, সব মিলিয়েই মাতেও কোভাচিচের চোখে এই মুহূর্তে বিশ্বের সেরা দল ম্যানচেস্টার সিটি। সেই দলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে এখন স্বপ্ন পূরণের রোমাঞ্চে বুঁদ তিনি। পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে নিজেকে আরও শাণিত করে তুলতেও তর সইছে না ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডারের।
গত কিছুদিন ধরেই চেলসি ছেড়ে কোভাচিচের ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। সেটিকেই সত্যি প্রমাণ করে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এলো মঙ্গলবার। চার বছরের চুক্তিতে ইংলিশ ও ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের হয়ে নাম লেখালেন ক্রোয়েশিয়ার এই মিডফিল্ডার।
চুক্তির আর্থিক বিষয়াদি প্রকাশ করা হয়নি। তবে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, আড়াই কোটি পাউন্ড ট্রান্সফার ফিতে তাকে দলে নিয়েছে সিটি। সঙ্গে অন্যান্য সংযুক্তি আছে আরও ৫০ লাখ পাউন্ডের মতো।
সদ্য সমাপ্ত মৌসুমে ‘ট্রেবল’ জয়ের ইতিহাস গড়া সিটি জন্য দল আরও পোক্ত করার কাজ শুরু করে দিল। নতুন মৌসুমের জন্য তাদের প্রথম সংযুক্তি কোভাচিচ।
ক্লাবের বিবৃতিতে ২৯ বছর বয়সী এই ফুটবলারের রোমাঞ্চ ও উচ্ছ্বাস ফুটে উঠল স্পষ্টই।
“আমার জন্য এটি দুর্দান্ত একটি পদক্ষেপ এবং সিটির হয়ে শুরু করতে আমার তর সইছে না। পেপ গুয়ার্দিওলার কোচিংয়ে এই দলকে যারাই দেখেছে, সবাই জানে তারা কতটা ভালো। আমার চোখে তারাই বিশ্বের সেরা ক্লাব। যতগুলি ট্রফি তারা জিতেছে, তা তো দৃশ্যমানই। পাশাপাশি, ফুটবলীয় দিক থেকেও তারা সেরা।”
“এই স্কোয়াডে যোগ দিতে পারা যে কোনো ফুটবলারের জন্যই স্বপ্নের মতো ব্যাপার। এখনও অনেক কিছু শেখার আছে আমার, উন্নতি করার বাকি আছে এবং আমি জানি, পেপের তত্ত্বাবধানে আমি আরও ভালো ফুটবলার হয়ে উঠব।”
নিজ দেশের ক্লাব দিনামো জাগরেবের হয়ে স্রেফ ১৬ বছর বয়সে কোভাচিচের ক্যারিয়ার শুরু সেই ২০১০ সালে। ২০১৩ সালে তিনি নাম লেখান ইন্টার মিলানে। ২০১৫ সালে প্রায় ৩ কোটি ইউরো ট্রান্সফার ফিতে যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে।
স্প্যানিশ ক্লাবটিতে অনেক সাফল্যের সঙ্গী তিনি। তিনটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের পাশাপাশি দুবার করে জিতে নেন ক্লাব বিশ্বকাপ ও উয়েফা সুপার কাপ, একটি করে লা লিগা ও স্প্যানিশ সুপার কাপ। তবে সেসব সাফল্যে তার অবদান ছিল কমই। নিয়মিত খেলার সুযোগ তিনি খুব একটা পাননি।
২০১৮-১৯ মৌসুমে তাকে ধারে পাঠানো হয় চেলসিতে। ২০১৯ সালে ৫ বছরের চুক্তিতে পাকাপাকিভাবেই ইংলিশ ক্লাবটিতে থেকে যান তিনি। সেটির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এবার শুরু হলো তার নতুন অধ্যায়।
কোভাচিচকে পেয়ে একইরকম উচ্ছ্বাস শোনা গেল সিটি ফুটবল পরিচালক চিকি বেগিরিস্তাইনের প্রতিক্রিয়াতেও।
“মাতেও দুর্দান্ত এক ফুটবলার। শীর্ষ পর্যায়ের ক্লাবে অনেক অভিজ্ঞতা আছে তার, প্রিমিয়ার লিগের ধরন খুব ভালোভাবে জানে। তাকে সিটিতে আনা খুবই স্বাভাবিক একটি সিদ্ধান্ত ছিল, কারণ একজন মিডফিল্ডারের মধ্যে যে ধরনের ট্যাকটিক্যাল ও টেকনিক্যাল গুণ আমরা চাই, তার তা আছে।”
“সে এমন একজন, যাকে আমরা অনেকদিন ধরেই পর্যবেক্ষণে রেখেছি এবং যখনই দেখেছি, মুগ্ধ হয়েছি। আমি উচ্ছ্বসিত যে, সে এখন এখানে। পেপ ও অন্য কোচিং স্টাফদের সঙ্গে কাজ করে সে কতটা কী করতে পারে, তা দেখতে আমি মুখিয়ে আছি।”