ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
শিরোপা জেতার মরিয়াভাবের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তাদের পারফরম্যান্সে, মনে করছেন ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইস।
Published : 22 Jun 2024, 07:58 PM
আন্তর্জাতিক পুরুষ ফুটবলে কোনো শিরোপার দেখা নেই পাঁচ যুগ ধরে। দীর্ঘ সেই খরা কাটাতে উন্মুখ হয়ে আছে ইংল্যান্ড। এবারের দলটিকে নিয়ে প্রত্যাশা আকাশচুম্বী হলেও ইউরোয় শুরুটা আশানুরূপ হয়নি তাদের। ডেকলান রাইসের মনে হচ্ছে, অতিরিক্ত চাপ নিয়ে নিচ্ছেন তারা আর সেটারও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে পারফরম্যান্সে।
১৯৬৬ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল ইংল্যান্ড, তার আগে-পরে আর কিছু জিততে পারেনি দেশটি। সবশেষ ইউরোয় ফাইনাল খেলেছিল তারা; টাইব্রেকারে ইতালির বিপক্ষে হেরে ভাঙে তাদের ইউরোপের মুকুট জয়ের স্বপ্ন।
এবারের ইউরোতেও ফেভারিটদের একটি হিসেবে দেখা হচ্ছে ইংল্যান্ডকে। কিন্তু জার্মানিতে চলমান আসরের শুরুটা প্রত্যাশা মতো হয়নি তাদের। সার্বিয়ার বিপক্ষে কোনোমতে ১-০ গোলে জেতা দলটি ডেনমার্কের বিপক্ষে করে ১-১ ড্র।
দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় ওঠার পথে অবশ্য এগিয়ে আছে ইংলিশরা। তবে ওই দুই ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। রাইসের মনে হচ্ছে, প্রত্যাশার চাপে নিজেদের সেরাটা দিতে পারছেন না তারা।
“দেশকে গর্বিত করতে আমরা সবাই মরিয়া হয়ে আছি। আমরা সবাই জিততে, নেতা হতে, মাঠে নেমে মানুষকে আজীবনের জন্য স্মরণীয় একটা স্মৃতি দিতে মুখিয়ে আছি। কখনও কখনও মনে হয়, আমরা যেন নিজেদের ওপর খুব বেশি চাপ নিয়ে নিয়েছি, আমাদের বরং উচিত মাঠে নেমে নিজেদের খেলাটা খেলা।”
ইংল্যান্ড দলে নেই অভিজ্ঞদের অনেকেই। স্কোয়াডে ডজনখানেক খেলোয়াড় আছেন, যারা এর আগে খেলেননি কোনো বড় টুর্নামেন্ট। গ্যারেথ সাউথগেটের এই দল চাপ সামলাতে পারবে কিনা, টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই এমন প্রশ্ন ওঠে।
তবে দলটিতে এমন কয়েকজন খেলোয়াড় আছেন, যারা বিশ্ব ফুটবলের বর্তমান সময়ের তারকা।
গত মৌসুমে রেয়াল মাদ্রিদের লা লিগা ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বড় অবদান রাখেন মিডফিল্ডার জুড বেলিংহ্যাম। প্রিমিয়ার লিগের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার জেতা ফিল ফোডেনও আছেন এই দলে। ছন্দে থেকে ইউরো খেলতে জার্মানিতে গেছেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হ্যারি কেইনও। কিন্তু তাদের কেউই এখনও নিজেদের সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি।
প্রিমিয়ার লিগে শেষ দিন পর্যন্ত শিরোপা লড়াইয়ে থেকে রানার্সআপ হওয়া আর্সেনালের মিডফিল্ডার রাইস মনে করছেন, গত মৌসুমে কেইন-বেলিংহ্যামদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ইউরোতে তাদের নিয়ে প্রত্যাশা বাড়িয়ে দিয়েছে।
“আমাদের কিছু খেলোয়াড় চমৎকার মৌসুম কাটানোর কারণে আমার মনে হয় বাইরের চাপ বেড়ে গেছে। এই বছর (মৌসুমে) আমাদের আক্রমণভাগের চারজনের (ফোডেন, বেলিংহ্যাম, হ্যারি কেইন ও বুকায়ো সাকা) গোলের দিকে তাকালে দেখা যাবে, তাদের সম্মিলিত গোল সংখ্যা একশটির বেশি।”
“অবশ্যই প্রত্যাশা আছে, কারণ তারা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়। আর এই প্রত্যাশা দলের সবার জন্যই প্রযোজ্য। এসবের চাপ তো থাকবেই…কিন্তু এটাই আমাদের কাজ এবং আমাদের তা মোকাবিলা করতে হবে।”
ইউরোর গ্রুপ পর্বে ইংলিশদের শেষ ম্যাচ স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে। আগামী মঙ্গলবারের ম্যাচটি ড্র করলেই নকআউট পর্বে জায়গা করে নেবে তারা।