ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ
দুইবারের ইউরোপ সেরা ফরাসিরা চলতি আসরে এখনও সেভাবে মেলে ধরতে পারেনি নিজেদের; অবশ্য বেলজিয়ামও একই পথের পথিক।
Published : 30 Jun 2024, 10:45 AM
স্বস্তিতে নেই দুই দলের কেউ! নকআউট পর্বে উঠলেও আক্রমণভাগের বিবর্ণতা নিয়ে চিন্তায় ফ্রান্স। কোনোমতে গ্রুপ পর্বের বৈতরণী পেরিয়ে আসা বেলজিয়ামের পারফরম্যান্সেও মেলেনি চেনা ধারের দেখা। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে মুখোমুখি এই দুই দলের সামনে তাই স্বরূপে ফেরার চ্যালেঞ্জ।
শেষ ষোলোয় আগামী সোমবার মুখোমুখি হবে ফ্রান্স ও বেলজিয়াম। বেশ কষ্টে নিজ নিজ গ্রুপের দ্বিতীয় সেরা দল হয়ে নকআউটের মঞ্চে এসেছে দুই দল।
এক জয় ও দুই ড্রয়ে ‘ডি’ গ্রুপ পর্ব শেষ করা ফ্রান্সের আক্রমণভাগ ছিল ধারহীন। সরাসরি আক্রমণ থেকে একটি গোলও এ পর্বে পাইনি দিদিয়ে দেশমের দল; অথচ কিলিয়ান এমবাপে, অঁতোয়ান গ্রিজমানের মতো তারকা রয়েছে দলটির আক্রমণভাগে।
বছর দুয়েক আগেও ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা বেলজিয়াম দলে কেভিন ডে ব্রুইনে, রোমেলু লুকাকুর মতো অভিজ্ঞ সেনানির উপস্থিতি, কিন্তু গ্রুপ পর্বের যুদ্ধ জয় করতে ঘাম ছুটে গেছে তাদের। এমনকি নিজেদের সমর্থকদের কাছ থেকে তাদের হজম করতে হয়েছে দুয়ো। ডুসেলডর্ফে তাই নিষ্প্রভতার খোলস থেকে বেরিয়ে আসার চ্যালেঞ্জ ফ্রান্স ও বেলজিয়ামের সামনে। বিশেষ করে দুই দলের আক্রমণভাগের সামনে।
গ্রুপ পর্বে ফ্রান্সের একমাত্র গোলদাতা এমবাপে, পোল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ড্র ম্যাচে গোলটি এই ফরোয়ার্ড করেছিলেন পেনাল্টি থেকে। বেলিজয়ামের রেকর্ড (৮৫টি) গোলদাতা লুকাকু বেশ কয়েকবার জালে বল জড়ালেও চলতি আসরে এখনও গোল পাননি। রোমানিয়ার বিপক্ষে তাদের ২-০ গোলে জেতা ম্যাচের নায়ক ডে ব্রুইনে ও ইউরি টিয়েলেমান্স।
এই দুই দলের দ্বৈরথ বেশ পুরোনো। ১২০ বছর আগে ব্রাসেলসে প্রথম আন্তর্জাতিক ফুটবলে মুখোমুখিতে ৩-৩ ড্র করেছিল ফ্রান্স-বেলজিয়াম। ৭৫ ম্যাচের পরিসংখ্যানে এগিয়ে বেলজিয়াম, ৩০টি জয় নিয়ে। ২৬ জয় পাওয়া ফ্রান্স অবশ্য শেষ দুই দেখায় জয়ী। প্রথমটি ২০১৮ বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে এবং পরেরটি ২০২১ সালে নেশন্স লিগের সেমি-ফাইনালে।
দুই দলের ৭৬তম দ্বৈরথ তাই দুই দলের সামনে পরিসংখ্যানের অনেক পাতায় আচঁড় কাঁটার পাশাপাশি ইউরোর সামনের পথচলার আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করে নেওয়ার উপলক্ষ।